মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে একুশের কবিতা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘কবিকণ্ঠে কবিতা’ অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন কবি হা​িববুল্লাহ সিরাজী l প্রথম আলো
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘কবিকণ্ঠে কবিতা’ অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন কবি হা​িববুল্লাহ সিরাজী l প্রথম আলো

বায়ান্নর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য হতে চেয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ‘আমার সাহস’ নামে একটি কবিতায় এ রকম এক আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ন কাব্যগ্রন্থের সেই কবিতাটি গতকাল সন্ধ্যায় পড়ে শোনালেন সম্প্রতি একুশে পদকে ভূষিত এই কবি।
গতকাল বুধবার বিকেলে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষেÿকবিকণ্ঠে কবিতাপাঠের আয়োজন করেছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তাতে সভাপতিত্ব করেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। এই আসরে কবিতা পড়েন কবি আনোয়ারা সৈয়দ হক, মুহম্মদ নূরুল হুদা, অসীম সাহা, শিহাব সরকার, তারিক সুজাত, খোরশেদ বাহার, আতাহার খান, রবীন্দ্র গোপ, শামস হক ও রনজিত কুমার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি কবি রবিউল হুসাইন।
দুপুরের বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া জাদুঘরের উঠোনে খুব বেশি দর্শক-শ্রোতার দেখা পাওয়া যায়নি। তবু এই আয়োজন আর আড্ডা তৃপ্ত করেছে কবিদের। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে এই প্রাঙ্গণে এটাই ছিল শেষ আনুষ্ঠানিক কবিতার আয়োজন। সৈয়দ শামসুল হক অনুরোধ করেন, ঘটা করে আরেকটি বড় মুক্তিযুদ্ধের কবিতার আসর হোক এখানে। সেদিন নাহয় একটু গানও হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হক বলেন, ‘আমাদের উচিত প্রাণ দিয়ে ভাষাকে রক্ষা করা। পৃথিবীর বহু ভাষা মরে যাচ্ছে, সেগুলোকেও রক্ষা করা দরকার।’ এ ছাড়া ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন তিনি।
পূর্ববর্তী ও প্রয়াত কবিদের স্মরণ করেন সৈয়দ হক। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ কবি বেলাল চৌধুরী ও রফিক আজাদের জন্য প্রার্থনারও আহ্বান করেন। সৈয়দ শামসুল হক ‘দুঃখের বিরুদ্ধে অক্ষর’ কবিতাটি পড়ে শোনান।