আরেক জেনিফার

জেনিফার গার্নার
জেনিফার গার্নার

হলিউডে জেনিফার নামের নায়িকাদের ছড়াছড়ি। তাঁদের মধ্যে জেনিফার গার্নারকে নিয়ে শোরগোল বলতে গেলে অন্যদের তুলনায় অনেকটা কমই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এই ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী হলিউডে কাজ করছেন বহুদিন। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব, এসএজি এবং এমি অ্যাওয়ার্ড। ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান, থার্টিন গোয়িং অন থার্টি, পার্ল হারবার, জুনোসহ গোটা তিরিশেক ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে। সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন স্টার ওয়ারস ছবির পরিচালক জে জে অ্যাব্রামসের টেলিভিশন সিরিজ অ্যালিয়াস-এর প্রধান চরিত্রে কাজ করে। ইস্টারকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র মিরাকলস ফ্রম হেভেন। প্যাট্রিসিয়া রিগেন পরিচালিত এ ছবির মধ্য দিয়ে তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। ছবির মূল চরিত্রে তাঁর ভূমিকা একজন স্নেহময়ী মায়ের, যিনি নিজের মেয়েকে সারিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
কাহিনি এ রকম: ক্রিস্টি (জেনিফার গার্নার) নামের একজন নারী জানতে পারে, তার ১০ বছর বয়সী মেয়ে অ্যানা বিরল এক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। মেয়েকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে ছুটতে থাকে। যেকোনো মূল্যে অ্যানাকে সারিয়ে তুলবে সে। তখন অ্যানা একটি দুর্ঘটনায় পড়ে। আর তাতেই বিস্ময়করভাবে সেরে ওঠে সে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও তাজ্জব বনে গেলেন এ ঘটনায়। ক্রিস্টিও তার স্বামী-সন্তানকে নিয়ে সুখের জীবনে ফিরে যায়। আর তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয় আশপাশের সবাই।

মিরাকলস ফ্রম হেভেন ছ​বিতে জেনিফার গার্নার
মিরাকলস ফ্রম হেভেন ছ​বিতে জেনিফার গার্নার

চলচ্চিত্রের জগতে এসে শীর্ষস্থানীয় তারকার জায়গা নিতে না পারলেও চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা মজবুত করছেন গার্নার। মিরাকলস ফ্রম হেভেন তারই এক উদাহরণ। এ ছবি তাঁর মধ্যে বিশ্বাস দৃঢ় করেছে বলে জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।
অভিনয়ই করবেন, এমন লক্ষ্য শৈশবে তাঁর ছিল না। বরং ডাক্তার, গ্রন্থাগারিক ইত্যাদি পেশার প্রতিই ছিল আকর্ষণ। পরে চারুকলা ও থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনা এবং মঞ্চে অভিনয়ের একপর্যায়ে চিত্রজগতের দিকে ঝুঁকে পড়লেন। তারপর শুধু এগিয়ে চলা—কাজ করে গেছেন একের পর এক ছবিতে। ব্যক্তিজীবনে নানা চড়াই-উতরাইও তাঁর অভিনয়-দক্ষতার ধারাবাহিক উন্নতিকে রুখতে পারেনি। একাধিকবার বিচ্ছেদের পর এখন তিনি একাই লালন করছেন সন্তানদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার গার্নার বলেন, ‘পৃথিবীটা সব সময় নিজের অনুকূলে থাকবে, এমনটা আশা করার সুযোগ নেই। জীবনে যদি শুধু ভালো ঘটনা ঘটত, বিশ্বাস বলে কিছু থাকত না। তাই কোনো কিছুর ওপর নির্ভর করতে হলে যেতে হবে অনেক বেশি গভীরে। জগৎটা বড় জটিল জায়গা। এখানে এমন সব ব্যাপার ঘটে, যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
অভিনয়ের বাইরে শিশুকল্যাণের নানা কাজে যুক্ত রয়েছেন জেনিফার গার্নার। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর দূত হিসেবে কাজ করছেন ছয় বছর ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচারেও শামিল হয়েছেন কয়েকবার। এখন কাজ করছেন দুটি ছবির—দ্য ট্রাইবস অব পাওলো ভারদেস এবং ওয়েকফিল্ড।
রয়টার্স, মুভি ইনসাইডার ও সিবিএস নিউজ অবলম্বনে