বাংলাদেশেও দাতব্য কাজ করতে চাই

>
উর্বশী রতেলা। ছবি: প্রথম আলো
উর্বশী রতেলা। ছবি: প্রথম আলো
মাস্তি ছবির সিক্যুয়েল গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি নিয়ে এখন বলিউডে আলোচনায় উর্বশী রতেলা। সিং সাব দ্য গ্রেট ছবি দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু তাঁর। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গত মঙ্গলবার বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজের গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ঢাকায়।

ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন ঢাকা সফর নিয়ে আপনি খুবই উচ্ছ্বসিত। কল্পনা আর বাস্তবের ঢাকার মধ্যে কোনো তফাত?
আসলে কোনো জায়গা সম্পর্কে পূর্বধারণা বা অনুমান করাটা আমার সঙ্গে যায় না। আমি কোনো একিট জায়গায় গিয়েই সেই জায়গাটাকে বুঝতে চাই। এর আগে বেশ কয়েকবার ঢাকায় আসার কথা ছিল। আসা হয়নি। এখন আসার পর ভালো লাগছে। যেকোনো জায়গায় প্রথমবার আসার অনুভূতি অন্য রকম হয়।
‘গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি নিয়ে কিছু বলুন। এই ছবিতে আপনার বিপরীতে আছেন একাধিক নায়ক। রীতেশ দেশমুখ, বিবেক ওবেরয়, আফতাব শিবদাসানি। ছবির কাজ কি শেষ?
হ্যাঁ, ছবিটির শুটিং শেষ করেছি। এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অভিজ্ঞতা। এটা অ্যাকশন কমেডি ঘরানার ছবি বলতে পারেন। আমার চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং।

আপনার নিজের একটি দাতব্য সংস্থা আছে শুনেছি। বাংলাদেশে এ রকম কোনো কাজে কি আপনি আগ্রহী?
অবশ্যই, কেন নয়। আমার দাতব্য সংস্থাটির নাম উর্বশী রতেলা ফাউন্ডেশন। মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে যদি সুযোগ হয় অবশ্যই বাংলাদেশেও দাতব্য কাজ করতে চাই।
বলিউডে সহ-অভিনেতা হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন? আবার বলবেন না অমিতাভ বচ্চন। ওটা খুব ‘নিরাপদ’ উত্তর।
না। না। ও রকম কোনো ব্যাপার নেই। হৃতিক। হৃতিক রোশনকে আমার বেশি পছন্দ। আর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
বাংলা বা বাংলাদেশি ছবি কি দেখেন?
বাংলা ছবি দেখেছি কিছু কিছু। ঋতুপর্ণা ঘোষের রেইনকোট দেখেছি। তাঁর কাজ খুব পছন্দ করি। বাংলাদেশের একটি ছবিতে কাজ করেছি। ছবির নাম পরবাসিনী। আরও কিছু বাংলা ছবিতে কাজের প্রস্তাবও পেয়েছি। দেখা যাক।
সত্যজিৎ রায়ের কোনো ছবি কি দেখেছেন? মনে করুন ‘পথের পাঁচালী’?
তিনি খুব বড়মাপের একজন নির্মাতা। পথের পাঁচালী ভবিষ্যতে দেখার ইচ্ছা আছে।
সাক্ষাৎকার: ইকবাল হোসাইন চৌধুরী