আসিফের পরিবারে এই প্রথম আর্জেন্টিনার সমর্থক

ব্রাজিলের সমর্থক সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের সমর্থক সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর পরিবার। সেই শৈশব থেকেই দেখে এসেছেন, তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের প্রায় সবাই ব্রাজিলের সমর্থক। কেউ কেউ জার্মানি, ইতালির সমর্থন করলেও পরিবারে কখনো আর্জেন্টিনার সমর্থক ছিল না। এটা ছিল আসিফের কষ্ট। ৪০ বছরের এই কষ্ট এবার ঘোচালেন এই গায়কের পুত্রবধূ। পরিবারের একমাত্র আর্জেন্টিনার সমর্থক নিয়ে বেশ মজার ঘটনা ঘটছে।

আসিফ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার কোনো সাপোর্টার নেই ঘরে, কষ্টদায়ক ব্যাপার একটু। গতকালই খবর পেলাম, বউমা ঈশিতা আর্জেন্টিনার সমর্থক, অবশ্য এই বিষয় নিয়ে তার “ব্রাজিলিয়ান” স্বামীর সঙ্গে এখনো সাংঘর্ষিক কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি। শ্বশুর হিসেবে আমি স্বাগত জানিয়েছি।’

আসিফের বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণ ও ইসমত শেহরীন তালুকদার ঈশিতা।
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরই আসিফের বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণর বিয়ে হয়েছে। কনে ইসমত শেহরীন তালুকদার ঈশিতা। আসিফ মনে করেন, চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবল ভিন্ন আয়োজন নিয়ে আসে। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়েই ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ পায়। অথচ তাঁকে শঙ্কিত করে খেলা নিয়ে বর্তমান সময়ের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, তর্কবিতর্ক ও অভদ্রতার মতো ঘটনাগুলো।

রণ ও ঈশিতাকে ঘিরে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর ও তাঁর স্ত্রী মিতুর সঙ্গে ছেলের শ্বশুর–শাশুড়ি (বামে)
ছবি: সংগৃহীত

১৯৮২ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখেন আসিফ।  খেলা নিয়ে প্রতিবারই উৎসাহ দেখিয়েছেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাসার লোকজন ভরপুর একটা উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা দেখবেন। তিনি খেলা নিয়ে লিখেছেন, ‘খেলা নিয়ে আনন্দ করুন, সমালোচনা করুন, মজা করুন, স্মার্ট সমর্থক হিসেবে অন্য দলের সমর্থকদেরও সম্মান দিন। যেকোন স্পোর্টস নিছক বিনোদন নয়, জীবনযুদ্ধের বৈশ্বিক কাঠিন্যের বিরুদ্ধে কিছুটা আনন্দ পাওয়ার জন্য এক মহাবিদ্রোহ। পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা শত্রুতা তৈরির ক্ষেত্র নয়। তাই আর কোন মূর্খতা নয়, বি স্পোর্টিং।’

আসিফ আকবর
ফাইল ছবি

আসিফ আরও লিখেছেন, ‘আমার আশপাশে আর্জেন্টাইন সাপোর্টারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক। জার্মানি–ইতালির কিছু জেনুইন সাপোর্টারও ফসিল হিসেবে টিকে আছে। আজকে আর্জেন্টাইন বন্ধুদের কাছে মুচলেকা দিয়েছি—ব্রাজিল ভালো না খেললেও তাদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করব না। যদি করি, তাহলে তারা বাসায় খেলা দেখবে, আমাকে বয়কট করবে। এ ধরনের হুমকির মুখে আরও স্পোর্টিং হওয়ার শপথ নিতেই হয়েছে। আসুন বিনোদিত হই, খেলাকে খেলা হিসেবেই নিই, অনেক কাহিনিতে জর্জরিত বিশ্বে একটু আনন্দিত থাকি।’