আবার চুরির অভিযোগ

ভারতের নানা প্রান্ত ঘুরে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবির প্রচারণা করছেন বরুণ, কিয়ারা, নীতু, অনিলরা

‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি আর মাত্র কদিন পর মুক্তি পেতে চলেছে। কিন্তু তার আগে আইনি ঝামেলায় পড়ছেন বরুণ ধাওয়ান আর কিয়ারা আদভানি অভিনীত ছবিটি। রাঁচির এক লেখক এই ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন বলে খবর।
২৪ জুন মুক্তি পাবে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি। বরুণ-কিয়ারার জুটি ছাড়া এই ছবির অন্য মূল আকর্ষণ অনিল কাপুর আর নীতু কাপুরের জুটি। দীর্ঘ সময় পর এই ছবির মাধ্যমে নীতু কাপুর রুপালি পর্দায় প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন। রাজ মেহেতা পরিচালিত ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন আর ভায়াকম এইন্টিন। রাজ মেহেতা এর আগে ‘গুড নিউজ’-এর মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।

করণের এই ছবির বিরুদ্ধে রাঁচির লেখক বিশাল এ সিং কাহিনি চুরির অভিযোগ এনেছেন। সেখানকার ব্যবসায়িক আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলার শুনানিতে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবির নির্মাতাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে ছবিটি, মুক্তির আগে আদালতে এক বিশেষ প্রদর্শন রাখতে হবে। তার মানে, আদালত প্রথম এই ছবি দেখবেন, তারপর তাঁর রায় শোনাবেন। ছবিটি না দেখা পর্যন্ত আদালত চূড়ান্ত রায় শোনাবেন না।

২৪ জুন মুক্তি পাবে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি।

লেখক বিশাল সিংয়ের অভিযোগ যে ধর্মা প্রোডাকশনকে তিনি ‘পুন্নি রানী’ ছবির পাণ্ডুলিপি মেইল করেছিলেন। তবে এই মেইলের কোনো উত্তর বিশাল ধর্মা প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে পাননি।

বরুণ ধাওয়ান আর কিয়ারা আদভানি

এই লেখক অভিযোগ করেছেন যে তাঁরই চিত্রনাট্য ব্যবহার করে ধর্মা প্রোডাকশন ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। বিশাল সিং ছবির নির্মাতাদের কাছে দেড় কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাঁচি আদালতকক্ষে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবির এক বিশেষ প্রদর্শন রাখতে হবে। এই প্রদর্শনের পর বিচারক এমসি ঝাঁ বাদী এবং বিবাদী পক্ষের কথা শুনবেন, আর তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে এই মামলা প্রকৃতই কপিরাইট লঙ্ঘনের কি না। তবে এখনো ধর্মা প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।

পারিবারিক ড্রামাভিত্তিক ছবি ‘যুগ যুগ জিও’ ঘিরে আগেও বিতর্ক হয়েছিল

পারিবারিক ড্রামাভিত্তিক ছবি ‘যুগ যুগ জিও’ ঘিরে আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এর আগে পাকিস্তানের এক গায়ক নির্মাতাদের বিরুদ্ধে একটা গান চুরির অভিযোগ এনেছিলেন। এই ছবির গান ‘নাচ পঞ্জাবন’ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পাকিস্তানি গায়কের অভিযোগ যে তাঁর গান তাঁর অনুমতি ছাড়াই ‘যুগ যুগ জিও’ ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ধর্মা প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে কোনো রকম গান চুরি করা হয়নি। দিল্লি, জয়পুর, গুজরাট, পুনেসহ দেশের আরও নানা প্রান্ত ঘুরে ‘যুগ যুগ জিও’ ছবির জোরদার প্রচারণা করছেন বরুণ, কিয়ারা, নীতু, অনিলরা।