এই দিনে চলে যান শ্রীদেবী

শ্রীদেবী
শ্রীদেবী

তাঁর মৃত্যুসংবাদ এসেছিল আচমকা। ননদের ছেলের বিয়েতে অংশ নিয়ে উড়াল দিয়েছিলেন দুবাই। নানা আয়োজনে মেতে ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে নিজের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি দিয়েছিলেন। আর ঠিক এই দিনেই হুট করে খবর আসে—তিনি নেই। চলে গেছেন আজীবনের জন্য। ভক্তহৃদয় যেমন পুড়েছে, তেমনি বলিউডও হারাল এক মহানায়িকাকে। শ্রীদেবী মারা গেলেন গত বছর এই দিনে। পেরিয়ে গেল একটি বছর।

শ্রীদেবীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রার্থনায় হাজির হবে কাপুর পরিবার। প্রার্থনা করবে শ্রীদেবীর ভক্তকুলও। তবে মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে এক অভিনব আয়োজন করেছে কাপুর পরিবার। শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর শ্রীদেবীর একটি শাড়ি ভারতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান কনসার্ন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে দান করেছেন। একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এটি নিলামে তোলা হয়েছে। নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ ব্যয় করা হবে বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া ভারতীয় মানুষের কল্যাণে। তাদের মধ্যে আছে পিছিয়ে পড়া নারী, শিশু; শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য ও কমিউনিটি উন্নয়ন।

শ্রীদেবীর জন্ম ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের তামিলনাড়ুতে। তাঁর মা রাজেশ্বরী ইয়াংগার ও বাবা আয়াপ্পাঁ ইয়াংগার। শ্রীদেবীর বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী। শ্রীদেবীর আসল নাম শ্রী আম্মা ইয়াংগার আয়াপ্পাঁ। ১৯৬৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ভক্তিমূলক তামিল ছবি তুনাইভান তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। নায়িকা হিসেবে বলিউডে শ্রীদেবীর প্রথম ছবি ষোলা সাওয়ান। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে। চলচ্চিত্র নির্মাতা বনি কাপুরকে শ্রীদেবী বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে। তাঁদের সংসারে দুই সন্তান—জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর। জাহ্নবীর ইতিমধ্যেই বলিউডে অভিষেক হয়েছে। শ্রীদেবী অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ছবি নাগিনা ও চাঁদনি।

দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার হোটেলে মারা যান শ্রীদেবী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাথরুমে পাওয়া যায় অচেতন শ্রীদেবীকে। পরে ওই রাতেই হোটেল থেকে এই অভিনেত্রীকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। এরপর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।