‘এই মানুষদের কখনোই তৃপ্ত করা যায় না’

কিয়ারার ক্যারিয়ারে পড়েছে ট্রলের নেতিবাচক প্রভাব
সংগৃহীত

খ্যাতি যেমন আনন্দের, তেমনি এর বিড়ম্বনা বিষাদের। বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি ডুবেছেন সেই বিষাদে। সৌন্দর্য আর অভিনয়—দুই–ই তাঁকে এনে দিয়েছে বহু ভক্ত আর খ্যাতি। অন্যদিকে অনলাইনে নানা রকম কটূক্তিও এড়িয়ে যেতে পারছেন না তিনি। এসব নিয়ে সম্প্রতি নিজের দুঃখের কথা বললেন এই বলিউড তারকা।

অনলাইনে তারকাদের নিয়ে ট্রল হয় প্রায় নিয়মিত। অনেক তারকা সেটা এড়িয়ে যান। কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে হন সোচ্চার। তবে যেকোনো প্রকার ট্রল কিন্তু একজন তারকার জীবনে প্রভাব ফেলে। কিয়ারার ক্যারিয়ারেও পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। বিরক্ত কিয়ারা মনে করেন, ছবি তোলা আর প্রেক্ষাপট না জেনে কাটতির বিবেচনায় ক্যাপশন জুড়ে ছেড়ে দেওয়া পাপারাজ্জিদের কাজ। তিনি বলেন, ‘যেখানেই যাবেন, সেখানেই আপনার ছবি তোলা হবে। কোনো প্রেক্ষাপট ছাড়াই সেটা ছেড়ে দেবে। এরপর সবাই সেই ছবিতে মন্তব্যের ঝড় তুলবেন। প্রত্যেকেই ওই ছবি নিয়ে নিজের মতামত দেবেন। “তুমি কেন এটা পরেছ?”, “তুমি কেন এটা করছ” ইত্যাদি।’

নিজের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে কিয়ারা বলেন, ‘একবার আমার একটা মিটিংয়ে যেতে দেরি হয়ে গেল। আমি সেখানে কোনো পাপারাজ্জিকে আশা করিনি। সেখানে কিছু লোক ছিলেন, তাঁরা আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলেন। কিন্তু আমার সত্যিই খুব তাড়া ছিল।’ পরের ঘটনা অনেকেই জানেন। ইনস্টাগ্রামে কিয়ারা একটি ভিডিও দেখলেন, যার শিরোনাম ছিল, ‘ভক্তদের সঙ্গে একটা ছবিও তুলতে চাইলেন না কিয়ারা। কী ভাব তাঁর।’ ভিডিও দেখে অবাক কিয়ারা! তিনি বলেন, ‘আমি যদি মিটিংয়ে দেরি করে ঢুকি, তাঁরা বলবেন, কী ভাব তাঁর, মিটিংয়েও সঠিক সময়ে পৌঁছান না। এই মানুষদের কখনোই তৃপ্ত করা যায় না। তাঁরা আপনাকে কথা শোনাবেনই।’

এই বলিউড অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর ও নিতু কাপুরের সঙ্গে ‘যুগ যুগ জিয়ো’ ছবিতে
সংগৃহীত

এসব ট্রলের সঙ্গে লড়ে কাজ করে যাচ্ছেন কিয়ারা। তাঁকে শেষ দেখা গেছে কথিত প্রেমিক সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে ‘শেরশাহ’ ছবিতে। এ ছাড়া এই বলিউড অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর ও নিতু কাপুরের সঙ্গে ‘যুগ যুগ জিয়ো’ ছবিতে। আগামী বছরের ২৪ জুন মুক্তি পাবে ছবিটি।