জেলে কী খাচ্ছেন আরিয়ান
জেলে কেমন কাটছে আরিয়ান খানের দিনকাল, তাঁকে কী খাবার দেওয়া হচ্ছে—এসব নিয়ে শাহরুখভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিত্তবৈভবে বেড়ে ওঠা আরিয়ান কতটা খাপ খাওয়াতে পারবেন জেলের পরিবেশে, সেটাও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলে বিশেষ কোনো সুবিধা আরিয়ান খান পাবেন না। তাঁর সঙ্গে অন্য কয়েদিদের মতোই ব্যবহার করা হবে। জেলে থাকার জন্য তাঁর যা যা প্রয়োজন, সবকিছুই সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়তি কোনো সুযোগ-সুবিধা তিনি পাবেন না। এখন জেলে যাওয়ার আগে প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করানোর নিয়ম আছে। করোনা পরীক্ষায় আরিয়ানের ইতিমধ্যেই নেগেটিভ ফল এসেছে। আরিয়ানসহ অভিযুক্ত আটজনের প্রত্যেকেরই করোনার টিকা নেওয়া আছে।
আদালত কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোনো প্রকারের বাইরের খাবার তাঁদের কাউকে দেওয়া যাবে না। জেলের সব নিয়মকানুন তাঁদের মেনে চলতে হবে এবং তাঁদের সকাল ছয়টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সকাল সাতটায় তাঁদের সকালের নাশতা দেওয়া হবে। নাশতায় থাকবে শুধু সুজির হালুয়া, চিড়া ও ভাত। বেলা ১১টায় দেওয়া হবে দুপুরের খাবার। সেখানে থাকবে রুটি, সবজি, ডাল ও ভাত। রাতের খাবারেও থাকবে একই জিনিস। সন্ধ্যা ছয়টায় দেওয়া হবে রাতের খাবার। কেউ চাইলে আটটায়ও রাতের খাবার খেতে পারেন। অবশ্যই সবার সঙ্গে প্লেট থাকতে হবে। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জেল কর্তৃপক্ষ সেলে ঢুকতে পারবে। এরপর আর কেউ জেলে ঢুকতে পারবে না।
২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে আয়োজিত মাদক পার্টিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। এ পার্টি থেকে আরিয়ানসহ অনেককে আটক করে তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান খান, অভিনেতা আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠিয়েছেন বলিউডের এই তারকা সন্তানকে। শুক্রবার জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন আদালত।
এনসিবির হেফাজতে থাকার সময় ন্যাশনাল হিন্দু রেস্তোরাঁ থেকে সাধারণ খাবার আসত আরিয়ানের জন্য। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবার জন্য একই খাবার দেওয়া হয়েছিল।