বাবা-ছেলের দূরত্ব কমেছে?

ঋষি কাপুর ও রণবীর কাপুর
ঋষি কাপুর ও রণবীর কাপুর

বাবার সঙ্গে ছেলের তেমন বনিবনা নেই। ঋষি কাপুর আর তাঁর ছেলে রণবীর কাপুরের কথা বলা হচ্ছে। ছোট থেকেই বাবার ভয়ে অস্থির রণবীর। দুজনের সম্পর্কের মধ্যে অনেক দূরত্ব। তবে সেই দূরত্ব এখন কিছুটা হলেও ঘুচেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে ‘সঞ্জু’র জন্য।

রাজকুমার হিরানী পরিচালিত ‘সঞ্জু’ ছবির মুক্তির পর চারদিকে রণবীরের প্রশংসা। এর আগেও ‘বরফি’, ‘রকস্টার’ আর ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিগুলোর জন্য সবাই রণবীরের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ঋষির কণ্ঠে কখনো ছেলের কাজের প্রশংসা শোনা যায়নি। এমনকি তিনি ছেলে রণবীরকে বলেছেন, ‘আরও ভালো অভিনয় করো।’

আজ পর্যন্ত তিনি কখনো রণবীরের সাফল্যে খুশি হননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন রণবীর কাপুর। বাবা ঋষি কাপুর প্রসঙ্গে রণবীর বলেন, ‘তিনি সব সময় বলেছেন, আরও ভালো অভিনয় করা উচিত ছিল। বাবাকে কখনো সন্তুষ্ট করতে পারিনি।’

তবে ‘সঞ্জু’ ছবির ট্রেলার দেখে ছেলে রণবীরের প্রশংসা করেছেন ঋষি কাপুর। রণবীর বলেন, ‘এবারই প্রথম বাবার মুখে আমার প্রশংসা শুনেছি। “সঞ্জু”র ট্রেলার দেখে বাবা খুব খুশি। তবে আমাদের সম্পর্কটা এখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি বাবাকে একই রকম ভয় পাই। আর মা (নীতু সিং) আমি যা-ই করি না কেন, তাতেই খুশি। আমার অভিনয়ের বড় ভক্ত আমার মা। আমাকে টিভিতে বা ছবিতে দেখলেই খুব সুন্দর মেসেজ লিখে পাঠায়।’

তবে ‘সঞ্জু’ ছবির মুক্তির পর বাবা-ছেলের সম্পর্কের রসায়নটা একটু হলেও বদলেছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় ঋষি কাপুরের একটা টুইটে। ‘সঞ্জু’ ছবি দেখে তিনি রীতিমতো আপ্লুত। চারদিকে শুধু ছেলে রণবীরের অভিনয়ের প্রশংসা। ঋষি কাপুর টুইট করেন, ‘আমার এয়ারক্রাফট এখন ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছে। চিয়ার্স রণবীর, তুমি জানো না তোমার অভিভাবকেরা তোমার জন্য কতটা গর্বিত! ধন্যবাদ, আরও ভালো কাজ করো।’

বাবার এই টুইট নিশ্চয়ই রণবীরকে আবেগপ্রবণ করবে। এত দিন তিনি অপেক্ষায় ছিলেন, বাবা কখন তাঁর প্রশংসা করবেন। আজ রণবীরের সেই অপেক্ষার দিন শেষ। তবে রণবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুরো বলিউড। এমনকি বরেণ্য অভিনেত্রী শাবানা আজমি ‘সঞ্জু’ ছবিতে রণবীরের অভিনয় দেখে অত্যন্ত খুশি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিখেছেন, ‘ঋষি তাঁর ছেলের জন্য গর্বিত হবে। আর নীতু তো খুশিতে কেঁদে ফেলবে।’

রাজ কুমার হিরানি পরিচালিত ‘সঞ্জু’ ছবির মুক্তির মাত্র তিন দিনেই অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ পর্যন্ত এই ছবি থেকে ১২০ কোটি রুপির বেশি আয় হয়েছে।