মা–বাবার বিরুদ্ধে কেন মামলা করলেন থালাপতি বিজয়

থালাপতি বিজয়ইনস্টাগ্রাম

মা–বাবাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দক্ষিণি ছবির সুপারস্টার থালাপতি বিজয়।

২০২০ সালে ছেলের নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন বিজয়ের বাবা পরিচালক এসকে চন্দ্রশেখর। দলটির নাম রাখা হয়েছিল ‘অল ইন্ডিয়া থালাপতি বিজয় মক্কল ইয়াক্কম’। নির্বাচনী কমিশনের কাছে যে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এসকে চন্দ্রশেখরের নাম রয়েছে। আর থালাপতি বিজয়ের মা শোভা চন্দ্রশেখর এই দলটির কোষাধ্যক্ষ।

থালাপতি বিজয় পড়েছেন ভিজুয়াল কমিউনিকেশনে। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজের শিক্ষার্থী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কিছুদিন আগে বিজয় বলেছিলেন, এই নির্বাচনী দলের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে আবেদন করেছিলেন, শুধু তাঁর নাম দেখে ভক্তরা এই দলের সঙ্গে যেন যুক্ত না হন। এমনকি বিজয় এ কথাও বলেছিলেন যে কেউ যদি তাঁর ছবি বা ফ্যান ক্লাবের অপব্যবহার করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

থালাপতি বিজয়
ইনস্টাগ্রাম

ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন এই তারকার বাবা এস চন্দ্রশেখর ঘোষণা করেন, তাঁর ছেলে বিজয় রাজনীতিতে যোগদান করতে চলেছেন। আর তাঁর নিজের নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধভুক্ত করাবেন। আর তাই এই দক্ষিণি তারকা তাঁর মা–বাবাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ উচ্চ আলাদতে মামলা করেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।

সম্প্রতি বিজয় তাঁর ইমপোর্টেড লাক্সারি গাড়ি রোলস রয়েস ঘোস্টের ওপর প্রবেশ কর আরোপের বিরোধিতা করে মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন।

থালাপতি বিজয়
ইনস্টাগ্রাম

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছেন, এই সম্মানিত নায়কের থেকে আশা করা হয় যে তিনি সময়মতো ও সঠিকভাবে আয়কর প্রদান করবেন। আর যে অভিনেতাকে ভক্তরা বাস্তবের নায়ক হিসেবে দেখেন, তিনি শুধু পর্দাতেই সীমিত থাকতে পারেন না৷ কিছুদিন আগে বিজয়ের ‘মাস্টার’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন বিজয় সেতুপতি। ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল।

এই দক্ষিণি তারকার জন্ম চেন্নাইয়ে। তাঁর প্রকৃত নাম যোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। ভক্তদের কাছে তিনি ‘থালাপতি’ নামে জনপ্রিয়। বিজয়ের বাবা এস চন্দ্রশেখর কলিউডের নামকরা চিত্রপরিচালক।

থালাপতি বিজয়
ইনস্টাগ্রাম

বাবার পরিচালিত ১৫টি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। এর মধ্যে ছয়টিতে বিজয় শিশু অভিনেতা। ভারতীয় ছায়াছবি দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী অভিনেতাদের একজন বিজয়। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৪১০ কোটি রুপি। প্রতিবছর তিনি ১০০ থেকে ১২০ কোটি রুপি আয় করেন বলে জানা গেছে।