সামান্থার খোলা চিঠি

স্বাধীন জীবনযাপন পছন্দ সামান্থা রুথ প্রভুর
ইনস্টাগ্রাম

স্বাধীন জীবনযাপন পছন্দ সামান্থা রুথ প্রভুর। দক্ষিণ ভারতীয় এই তারকার কাজ কিংবা কথা—দুটোতেই এর প্রমাণ মেলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বলিষ্ঠ বক্তব্য সেসবের যথাযথ উদাহরণ। যদিও টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুকে নিন্দুকদের কাছে পর্যুদস্ত হওয়া তাঁর জন্য সাধারণ ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। তিনি যা–ই করুন না কেন, নিন্দুকদের নেতিবাচক মন্তব্য করা চাই–ই চাই। এবার তাঁদের উদ্দেশে সামান্থা লিখলেন খোলা চিঠি।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে হাজির হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই অনুষ্ঠানে পরে যাওয়া পোশাক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু মন্তব্য করা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামান্থা। লিখেছেন, ‘চারপাশে নারীকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একজন নারী হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা নারীকে বিচার করি তাঁর পোশাক, জাত, শিক্ষা, সামাজিক অবস্থান, চেহারা, ত্বকের রং এবং এ রকম আরও অনেক বিষয় দিয়ে। একজনের পোশাক দেখে তাঁকে বিচার করা খুব সহজ কাজ।’

দক্ষিণ ভারতীয় তারকা হিসেবে সামান্থার জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী
ইনস্টাগ্রাম

শুধু পোশাকই নয়, পোশাকের নানা অংশ নিয়েও মানুষ নারীকে বিচার করে। এসব বন্ধ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়েও ওই পোস্টে লিখেছেন তিনি। সামান্থা লেখেন, ‘এখন আমরা ২০২২ সালে বাস করছি। আমরা কি শেষমেশ একজন নারীকে তাঁর পোশাকের “হেমলাইন” ও “নেকলাইন” দিয়ে বিচার করা বন্ধ করতে পারি? তার বদলে আমরা নিজেদের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে পারি না? আমার ব্যক্তিগত আদর্শ

আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কখনোই ভালো কিছু আসেনি। আমরা একজন ব্যক্তিকে যেভাবে দেখি ও বুঝি, আসুন সেই দৃষ্টিভঙ্গিটাকে আবার নতুন করে লিখি।’
দক্ষিণ ভারতীয় তারকা হিসেবে সামান্থার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গস্পর্শী। তখন ছবিতে তাঁকে তথাকথিত নায়িকা হিসেবেই দেখা গেছে। এরপর আক্কিনেনি পরিবারের বউ হিসেবে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি। সংসার টেকেনি, বিচ্ছেদের পরে এক অন্য সামান্থাকে যেন পেলেন ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর প্রায় প্রতিটি স্ট্যাটাস ছিল নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে। ওয়েব ও সিনেমায় তাঁর চরিত্রগুলোতেও দেখা যাচ্ছে বৈচিত্র্য।