বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতকে হত্যা করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এআইআইএমএস) ফরেনসিক রিপোর্টে সেটাই বলা হয়েছে। কিন্তু কেন? একজন সফল তারকা কেন আত্মহত্যা করলেন? এই মুহূর্তে এটাই সর্বস্তরের মানুষের প্রশ্ন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় চার মাস পার হয়ে যাচ্ছে। সুশান্তের পরিবার এবং বন্ধুদের অনেকের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বিষ খাইয়ে, পিটিয়ে, ইনজেকশন দিয়ে, জোর করে ঝুলিয়ে তাঁকে মারা হয়েছে—এ রকম নানা আশঙ্কার প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। সুশান্তের রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত করছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। এআইআইএমএসের ফরেনসিক দলের প্রধান সুধীর গুপ্ত বলেছেন, ‘আমরা আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানিয়েছি। সুশান্ত গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
সুধীর গুপ্ত স্পষ্ট বলেছেন যে সুশান্তর গলায় ফাঁসের দাগ ছাড়া আর কোনো চিহ্ন নেই। এমনকি তাঁর শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্নও নেই। সুশান্তর কাপড় বা শরীরে হাতাহাতির কোনো লক্ষণ নেই। ফাঁস লাগিয়ে ঝোলার ফলেই সুশান্তের গলায় দাগ দেখা গেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। তাই এবার সিবিআই আত্মহত্যার দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত শুরু করবে। সুশান্তর মতো এক প্রাণবন্ত, হাসিখুশি আর সফল অভিনেতা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
তাঁকে আত্মহত্যার জন্য কেউ প্ররোচিত করেছিল কি না, তা সিবিআই তদন্ত করবে। ইতিমধ্যে সুশান্তের পরিবার তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় উসকানির অভিযোগ এনেছে। সুশান্তের পরিবারের দাবি ছিল, সুশান্তকে বিষ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির এআইআইএমএসের মেডিকেল দল এই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছে। তাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর সুশান্তর বোন শ্বেতা সিং কীর্তি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুধু বলেছেন, ‘আমরাই জয়ী হব।’
১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসা থেকে বলিউডের তরুণ নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শুরুতেই বলা হয়েছিল, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু বন্ধু ও স্বজনদের দাবি ছিল, তাঁর মতো সফল তারকা আত্মহত্যা করতে পারেন না। সুশান্ত প্রতি ছবিতে পাঁচ থেকে সাত কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিতেন। বিজ্ঞাপনের জন্য নিতেন কোটি রুপি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি রুপি। তাঁর সংগ্রহে ছিল উন্নত টেলিস্কোপ, একাধিক দামি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।