'এসেছিলাম নায়ক হতে, হয়ে গেলাম ভিলেন'

পর্দায় নায়কের ভাগ্যে জোটে দর্শকের তালি। খলনায়কের ভাগ্যে প্রতি মুহূর্তে জোটে গালি। অবশ্য এর জন্য প্রয়োজন সেই রকমের অভিনয়। যে যত বেশি গালি খাবে ধরে নিতে হবে, সে তত সফল খলনায়ক। বলিউডে এমনই একজন সফল খলনায়ক প্রেম চোপড়া। এমন সময়ও গেছে, তাঁকে দেখলে লোকজন নিজের স্ত্রী, কন্যাকে লুকিয়ে রাখত।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তথ্যটি ৮১ বছর বয়েসি প্রেম চোপড়া নিজেই জানিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে প্রেম চোপড়া বলেন, অভিনয় জীবনের শুরুতে খলনায়কের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মধ্যে এতটাই প্রভাবিত করত যে, রাস্তাঘাটে আমাকে দেখলেও স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন মানুষ। গোটা দেশ ঘৃণা করত আমাকে!’
এ পরিমাণ ঘৃণার মানুষ হয়েও এতটুকু হতাশ হননি তিনি। বরং এ ঘৃণাই ছিল তাঁর জন্য ভালোবাসা।। কারণ, এর মানে, তাঁর অভিনয় প্রকৃত অর্থেই ছুঁয়ে গেছে মানুষের মন।
সাক্ষাৎকারে প্রেম চোপড়া আরও জানান, আর পাঁচজনের মতো তিনিও প্রথমে নায়ক হতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু নায়ক হিসেবে যে কটা হিন্দি ছবিতে কাজ করেন, প্রতিটাই ফ্লপ করে। তখন অফার আসে খল চরিত্রের। ভিলেন হিসেবে তাঁর অভিনয় করা ছবিগুলি দর্শক সমাদৃত হয়। ‘আমি এসেছিলাম নায়ক হতে, হয়ে গেলাম ভিলেন।’
আগের ভিলেনদের সঙ্গে এখনকার ভিলেনদের তফাত কী? জবাবে প্রেম চোপড়া বলেন, আগে ছবির গল্প তৈরি হতো তিন মূল চরিত্র নিয়ে—নায়ক, নায়িকা আর খলনায়ক। কিন্তু এখন আর তা নয়। ভিলেনের অতীতের কোনো গল্প থাকত না তখন। বলা হতো না, কেন সে এমন পথ বেছে নিল। এমনি খারাপ করে দেখানো হতো তাকে। কিন্তু এখন অনেক নায়ক ভিলেনও হন। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরা হয় পরিষ্কার করে।
এখন আর ছবিতে ভিলেন হতে দেখা যায় না। ৮০ বছরের একজন মানুষ নায়িকার পেছনে খারাপ উদ্দেশ্যে ছুটছেন এমন দৃশ্য হয়তো দর্শক মেনে নেবে না। তাই বলে পর্দার জীবন থেকে সরে দাঁড়ায়নি প্রেম চোপড়া। সামনেই মুক্তি পাবে তাঁর কয়েকটি ছবি—‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’, ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’ ইত্যাদি। হিন্দুস্তান টাইমস