এরপরও কেন বিচ্ছেদ?

এশা দেওল ও ভরত তখতানিইনস্টাগ্রাম থেকে

এশা দেওল আর ভরত তখতানি। ভারতীয় জনপ্রিয় দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের খবর এখন পুরোনো। তবুও ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনির কন্যার বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা–কল্পনার যেন শেষ নেই! কেন ভাঙল এশার ১২ বছরের সংসার, তা নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে নানা খবর। কেউ বলছেন, দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পরই নাকি এশার সংসারে বেজে ওঠে ভাঙনের সুর! ঠিকমতো স্বামীর দেখভাল করতে পারছিলেন না, সে কারণেই সম্পর্কের অবনতি ঘটতে ঘটতেই এখন দুজনের তুই পথ দুদিকে! আবার কেউ বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এশা ভরতের সঙ্গে সব ছবি মুছে দিলেও ভরত সেটি এখনো করেননি। তার মানে—এশাকে ছাড়তেই চাইছেন না ভরত, তাঁর টাইমলাইনে এখনো জ্বলজ্বল করছে যুগলের ভালোবাসা মাখানো ছবি!

আরও পড়ুন

এশা-ভরতের বিবাহবিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সম্প্রতি এশার ‘আম্মা মিয়া’ বইয়ের কিছু লাইন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বইটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। বইতে বিয়ে এবং দাম্পত্য নিয়েও লিখেছিলেন এশা। সেসব লাইন থেকেই এখন বিবাহবিচ্ছেদের কারণ খুঁজছেন নেটিজেনরা। ওই বইতে ভরতের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর জীবনে কী কী বদল এসেছিল, তা–ও স্পষ্ট করেন ধর্মেন্দ্রকন্যা।
বইয়ের ভাইরাল হওয়া অংশে এশা লিখেছেন, ‘২০১২ সালে আমাদের বিয়ের পর অনেক কিছুই পাল্টে যায়। বিয়ের পর যেহেতু তাঁর (ভরত) পরিবারের সঙ্গে থাকতাম, সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই আগের মতো শর্টস আর গেঞ্জি পরে ঘরে ঘুরে বেড়াতে পারতাম না।’ এমনকি বিয়ের আগে কখনো রান্না করেননি এশা, যেটা ভরতের পরিবারে গিয়ে করতে হয়েছে।’ এশা আরও লিখেছেন, জীবনে পরিবর্তন এলেও স্বামীর পরিবার আপন করে নিয়েছিল তাঁকে। রান্নাঘর কি বাড়ির কাজ—সবখানেই সাহায্য পেতেন। কোনো কিছুই জোর করে চাপিয়ে দিতেন না শাশুড়ি।

ভরত তাকতানি ও এশা দেওল
ফেসবুক

তিনি এশাকে তৃতীয় ছেলে হিসেবে সমাদর করতেন। আর বাড়ির বড় বউ হওয়ায় নানা সময়ে উপহারও পেতেন এশা। এশার মতে, তিনি যথেষ্ট সুখে ছিলেন সংসারে।
যদিও এখন বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এই দম্পতির। এ সুন্দর বোঝাপড়া থাকার পরও কেন ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। আলাদা হয়ে গেলেও একসঙ্গেই দুই সন্তানের দেখভাল করবেন এশা-ভরত। এমনকি সন্তানদের ভালোর কথা মাথায় রেখেই নিজেদের পথ আলাদা করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন