দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মোহনলাল
ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ২০২৩’ পাচ্ছেন মালয়ালম অভিনেতা মোহনলাল। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করা মোহনলালকে ভক্তরা আদর করে ডাকেন ‘লালেট্টান’।
মোহনলালের প্রথম চলচ্চিত্র ‘তিরানোত্তম’(১৯৭৮) মুক্তির মুখ দেখেনি। কিন্তু ভাগ্য অপেক্ষা করছিল এক অনন্য অভিষেকের। ফাজিলের ‘মঞ্জিল বিরিঞ্জা পুক্কল’ (১৯৮০) সিনেমায় খলনায়কের চরিত্রে পর্দায় পা রেখেই দর্শকদের মনে দাগ কেটে দেন। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
অভিনয়ের জাদুকর
চার শতাধিক ছবিতে নানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কখনো প্রতিবেশী ছেলেটি, কখনো ভাঙা মনের প্রেমিক, কখনো রাজদরবারের গম্ভীর চরিত্র—প্রতিটি ভূমিকায় তিনি দেখিয়েছেন বহুমাত্রিকতা। ‘কিরিদম’, ‘ভারতাম’, ‘মানিচিত্রতাঝু’, ‘ভানাপ্রস্থম’ কিংবা ‘নমুক্কু পার্ক্কান মুথিরিত্তোপ্পুক্কাল’—এই সব ছবিই তাঁকে আঞ্চলিকতার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের জাতীয় আইকন বানিয়েছে।
যত স্বীকৃতি
মোহনলাল পেয়েছেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, নয়বার কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার। ভারত সরকার তাঁকে দিয়েছে পদ্মশ্রী (২০০১) ও পদ্মভূষণ (২০১৯)। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া মোহনলাল অভিনীত সিনেমা ‘এল-টু: এমপুরান’ বিশ্বজুড়ে ২৬০ কোটিরও বেশি আয় করে মালয়ালম সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
সহকর্মীদের শ্রদ্ধা
মোহনলালের এই প্রাপ্তি নিয়ে আনন্দ ছড়িয়েছে পুরো ভারতীয় চলচ্চিত্রজগতে। দীর্ঘদিনের বন্ধু পরিচালক প্রিয়দর্শন লিখেছেন, ‘লালের চেয়ে বেশি যোগ্য কেউ নেই।’ বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার বলেছেন, ‘তাঁর সঙ্গে দেখা মানে যেন অভিনয়ের সেরা বিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে বসা।’
মোহনলালের প্রতিক্রিয়া
পুরস্কার ঘোষণার পর মোহনলাল প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সিনেমাই আমার জীবন। আমি কৃতজ্ঞ, আমি গর্বিত।’
২৩ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বর্ণকমল পদক ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস