দশ মিনিট হৃদ্‌যন্ত্র বন্ধ ছিল!

শ্রেয়াস তলপাড়ে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

হিন্দি ও মারাঠি সিনেমার পরিচিত মুখ শ্রেয়াস তলপাড়ে। ‘গোলমাল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াও ‘হাউসফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা যায় তাঁকে। ছিলেন ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এও। তবে অনেক দর্শক তাঁকে মনে রেখেছেন ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার পাপ্পু মাস্টার চরিত্রের জন্য। গত ডিসেম্বরে হঠাৎ অভিনেতার হার্ট অ্যাটাকের খবর পাওয়া যায়। সুস্থ হয়ে অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শ্রেয়াস তলপাড়ে। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে তাঁর। তারপর খানিক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এ দুর্ঘটনার পর এখন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর এ ঘটনার পর এই প্রথম তিনি মুখ খুললেন।

বম্বে টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়াস বলেন, ‘আড়াই বছর ধরে টানা কাজ করেছি। গত কয়েক মাসে খুব দুর্বল লাগত। তবু কাজ থামাইনি। আমার কোলেস্টেরল বেশি ছিল, একাধিক টেস্ট করেছিলাম। ওষুধ খাচ্ছিলাম। আসলে আমার বাড়ির আরও অনেকের হার্টের অসুখ আছে, তাই আগে থেকে সাবধান ছিলাম। সেদিন মুম্বইয়ে “ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল” ছবির শুটিং করছিলাম।

শ্রেয়াস তলপাড়ে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

সেখানে দড়িতে ঝোলা, জ্বলে পড়ে যাওয়া—এসবের সিন ছিল। শেষ শটের পর মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাঁ হাত ব্যথা করতে শুরু করে। বাড়ি গেলে আমার স্ত্রী দীপ্তি আমাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।’

সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতা জানান, তাঁর সেরে ওঠা অনেকটা ‘নতুন জীবন’ পাওয়ার মতো। কারণ, সেদিন তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র প্রায় ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এরপর শ্রেয়াস বলেন, ‘বেঁচে থাকলে সব হবে। শরীর, স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবেন না। শরীর খারাপ হলে আর কিছুই ঠিক থাকবে না। শরীর যে বার্তা দেয় তা মেনে চলুন। ক্লিনিক্যালি আমি মরে গিয়েছিলাম। মারাত্মক ছিল আমার হার্ট অ্যাটাকটা। এটা যেন জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিল। আমি বলে বোঝাত পারব না যে যাঁদের জন্য আমি আজ বেঁচে আছি, তাঁদের কাছে আমি কতটা কৃতজ্ঞ।’

২০ বছর বয়স থেকে টানা কাজ করে যাচ্ছেন শ্রেয়াস। এ অভিনেতা জানান, তিনি নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করেন। কখনো ধূমপান করেননি, পানাহারও সেভাবে করেন না। ডায়েট মেনে খাবার খান। কোভিডের পর অনেক তরুণ হৃদ্‌যন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছেন। নিজের এই হার্ট অ্যাটাককে তেমন কিছু মনে করছেন শ্রেয়াস।