গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ভিসা না পেয়ে যেভাবে অভিনয়ে

ফাহাদ ফাসিল। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

মালয়ালম অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল বাংলাদেশেও পরিচিত নাম। ‘২২ ফিমেল কোত্তায়াম’, ‘ডায়মন্ড নেকলেস’, ‘বেঙ্গালুরু ডেজ’, ‘টেক অফ’ ইত্যাদি সিনেমার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন; ‘পুষ্পা’র জন্য পেয়েছেন সাধারণ দর্শকের কাছে পরিচিতি।

আরও পড়ুন

ভারতের চলচ্চিত্রবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল ফিল্ম কোম্পানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাহাদ বলেন তাঁর অভিনেতা হওয়ার গল্প।

ফাহাদ ফাসিল সিনেমা পরিবারের সন্তান। তাঁদের পরিবার প্রায় চার দশক ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত। বাবা ফাসিল নির্মাতা, ভাই ফারহান ফাসিলও অভিনেতা। তবে সিনেমা পরিবারের মানুষ হলেও অভিনয় নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না ফাহাদের।
২০০২ সালে বাবার পরিচালিত ‘কাইয়েথুম ডুরাথ’ দিয়ে অভিষেক হয় ফাহাদ ফাসিলের।

ফাহাদ ফাসিল। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

বক্স অফিসে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয় ছবিটি। এরপর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান ফাহাদ। প্রথম সিনেমার ব্যর্থতার জন্য তখন ফাহাদ বলেছিলেন, ‘ছবির ব্যর্থতার জন্য বাবাকে দায়ী করা ঠিক নয়। কোনো প্রস্তুতি ছাড়া সিনেমায় আসাটা আমার ভুল ছিল।’

২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি থেকে ছুটিতে কেরালায় ফেরেন ফাহাদ। তখন তাঁর ভিসার মেয়াদও প্রায় শেষে দিকে। আবার ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হচ্ছিল। এই সময় দুই সিনেমার প্রস্তাব পান।

ফাহাদ ফাসিল। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

এর মধ্যে একটি ছিল প্রশংসিত অ্যানথোলিজ সিনেমা ‘কেরালা ক্যাফে’। এরপর করেন আরও দুটি সিনেমা। সে সময়ের কথা মনে করে ফাহাদ বলেন, যদি ঠিক সময়ে ভিসা পেতেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতেন। অভিনয়ে আসা আর হতো না।

ফাহাদ ফাসিল এখন নতুন করে আলোচনায় ‘আবিশাম’ দিয়ে। গত ১১ এপ্রিল মুক্তির পর থেকে দর্শক আর সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে জিতু মহাদেবন পরিচালিত এই অ্যাকশন-কমেডি ছবিটি। মাত্র ৩০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত এ ছবিটি বক্স অফিসে ১৫০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছি। সিনেমাটির প্রযোজক ফাহাদের স্ত্রী নাজরিয়া নামিজ ও নির্মাতা আনোয়ার রশীদ।