বাড়ি ভাড়া নিলে হাতে টাকা থাকবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হতো

‘লাপাতা লেডিস’-এর পরিচালক কিরণ রাওপ্রযোজনা সংস্থা থেকে

আমির খানের সাবেক স্ত্রী কিরণ রাওকে অনেকেই চেনেন। সম্প্রতি তিনি ব্যাপকভাবে আলোচনায় ‘লাপাতা লেডিস’ সিনেমা দিয়ে।

এখন তাঁকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযোজক ও পরিচালক মনে করা হলেও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে কিরণকে। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কিরণ।

আরও পড়ুন

ক্যারিয়ারের শুরুতে নানা ধরনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিরণের। বহু ছবিতে সহপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু একটা সময় মুম্বাইতে থাকা তাঁর পক্ষে বেশ কঠিন ছিল।

কিরণ রাও। এএনআই

মুম্বাইয়ের ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একই সময়ে একাধিক কাজ করতেন কিরণ। তিনি বলছেন, ‘আমার কাছে যা কাজ আসত, আমি করতাম। যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা পেতাম, কাজটা করতাম। তারপর আবার পরবর্তী কাজ খুঁজতাম। বাড়ি ভাড়া নিলে হাতে কোনো টাকা থাকবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হতো।’

বহু লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত ‘লগান’ ছবি থেকে মোড় ঘুরতে থাকে। যদিও কিরণ জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেই মূলত রোজগার করতেন তিনি। কিরণের কথায়, ‘বড় ছবির জন্য বিশেষ টাকা পেতাম না। মুম্বাইতে থাকার জন্য যে পরিমাণ টাকার দরকার, তা মূলত আসত বিজ্ঞাপনের ছবি থেকে।’ বিজ্ঞাপনে কাজ করে যে টাকা পেয়েছিলেন, তা থেকেই নিজের জন্য কম্পিউটার ও একটি গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন বলেও জানান কিরণ।

‘লাপতা লেডিস’-এর পরিচালক জানান, নিজের জন্য কেনা প্রথম জিনিসটি হলো গাড়ি। তবে নতুন গাড়ি কিনতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাবার থেকে একটা গাড়ি কিনেছিলাম। ১ লাখ রুপিতে বাবা আমার কাছে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন। এমন কখনো শুনেছেন?’ অর্থের মূল্য বোঝানোর জন্যই তাঁর বাবা এমন করতেন বলে জানিয়েছেন কিরণ।

‘লগান’ ছবিতে সহপরিচালক হিসেবে কাজ করার সময়ও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে। পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের এই ছবিতে কাজ করার সময়ে বেশ ভয়ে ভয়ে থাকতেন তিনি। এমনকি বকুনিও খেয়েছেন বহু সময়। অবশেষে ২০১০ সালে ‘ধোবি ঘাট’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।