‘বালিকা’ এখন নায়িকা

অভিকা গর
ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘বালিকা বধূ’র ‘আনন্দী’র কথা মনে আছে? ধারাবাহিকের সেই মিষ্টি ‘বালিকা’ আজ পুরোদস্তুর নায়িকা। ছোট পর্দায় দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন অভিকা গর। দক্ষিণি ছবির জগতেও অত্যন্ত পরিচিত মুখ এই অভিনেত্রী। এবার বলিউডে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিকা। খুব শিগগির তাঁকে কৃষ্ণা ভাট পরিচালিত ‘১৯২০: দ্য হররস অব দ্য হার্ট’ ছবিতে দেখা যাবে।

আরও পড়ুন

ভারতীয় অনলাইন গণমাধ্যম ‘পিংকভিলা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি নিজের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা নিয়ে কথা বলেছেন অভিকা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের নেতিবাচক কথা মনে না রাখাটা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের আমি ক্ষমা করে দিই। তবে এটা করাটা সহজ কথা না। অনেককে দেখেছি, ক্ষমা করে দিয়েও বিষয়টা ভুলতে পারেন না তাঁরা। ফলে তাঁদের নিজেদের অনেক ক্ষতি হয়।

অভিকা গর
ইনস্টাগ্রাম থেকে

তাঁরা মানসিক কষ্টে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে মনের মধ্যে ক্ষোভ পুষে রাখেন। আমার দ্বারা এসব সম্ভব না। ইতিবাচক বিষয়ের জন্য আমার হৃদয়ে অনেক জায়গা আছে। অনুশোচনা, অন্যের প্রতি নেতিবাচক আবেগ, দ্বেষ—এসব কিছুই আমার শূন্য।’

এ প্রসঙ্গে বিটাউনের এই নবাগতা নায়িকা আরও বলেন, ‘এই দিকগুলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি সবকিছু সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। নিজের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাকে বেশি করে যুক্ত করতে চেষ্টা করি।

অভিকা গর
ইনস্টাগ্রাম থেকে

এসব আমাকে মানসিকভাবে চাঙা রাখে। তাই আমার আশপাশের মানুষকে হাসিখুশি দেখতে পাই। মনে হয়, খুশির এক আবরণ আমার চারপাশ ঘিরে আছে। আমি মনে করি, সফলতার থেকে আনন্দে থাকা মানুষের জন্য বেশি জরুরি।’

আরজে সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু কথা বলেছেন অভিকা, ‘স্টার পাওয়ারের প্রসঙ্গ উঠলে সবার আগে দক্ষিণের কথা উঠে আসে। এখানে স্টার পাওয়ারই শেষ কথা। স্বজনপ্রীতি শব্দটা শুনে শুনে আমাদের এখন বিরক্ত লাগে। দক্ষিণে স্বজনপ্রীতিই সবকিছু। কিন্তু মানুষ তা দেখতে পান না। তারা বলিউডেই খালি এসব কিছু দেখতে পান। হিন্দি ছবিকে ঘিরে মানুষের মনে এমন এক ধারণার জন্ম নিয়েছে। মানুষের মনে এ–ও ধারণা আছে যে আমরা শুধু দক্ষিণের ছবির অনুকরণ করি। কিন্তু আদপে আমরা দক্ষিণি ছবির পুনর্নির্মাণ করি।’

স্বজনপ্রীতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বজনপ্রীতি বিষয়কে ঘিরে সবাই অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব নিয়ে চর্চা ক্রমশ কম হয়ে যাবে বলে আমার ধারণা।

অভিকা গর
ইনস্টাগ্রাম থেকে

২০১৩ সালে ‘উয়ালা জামপালা’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু ছবির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন অভিকা।