‘কাজ করে যাই, ফলের চিন্তা করি না’

নায়ক থেকে চরিত্রাভিনেতা—বছরের পর বছর ধরে স্মরণীয় সব চরিত্রে অভিনয় করছেন অনিল কাপুর। শুধু বড় পর্দা নয়, ওটিটিতেও তাঁর সমান দাপট। সম্প্রতি ডিজনি প্লাস হটস্টারের ‘দ্য নাইট ম্যানেজার টু’ ওয়েব সিরিজে ‘শেলি রুংগতা’র মতো ভয়ংকর চোরাকারবারির চরিত্রে অভিনয় করে আবারও সবাইকে চমকে দিলেন এই বলিউড তারকা। মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি
অনিল কাপুর। এএনআই

প্রথমেই উঠে এল ‘দ্য নাইট ম্যানেজার টু’র সফলতার কথা। অনিল কাপুর বলেন, প্রথম পর্বেই দেশ–বিদেশের প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তবে প্রথম পর্বের আগে একটু চাপে ছিলাম যে দর্শক কীভাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রথম পর্বে দারুণ সাড়া পাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। এবার “দ্য নাইট ম্যানেজার টু”-কে ঘিরেও দর্শকের ভালোবাসায় মনটা ভরে গেছে।’ অনিল জানান যে ওটিটির পর্দায় ‘শেলি’ হয়ে ওঠার জন্য কোনো প্রস্তুতি তিনি নেননি। তাঁর মতে কিছু কিছু চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি না নেওয়াই ভালো।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যতিক্রমী সব চরিত্রে দেখা গেছে অনিল কাপুরকে। তাঁর মতো দাপুটে অভিনেতার কাছ থেকে দর্শকের প্রত্যাশা সব সময়ই অনেক বেশি থাকে।

‘দ্য নাইট ম্যানেজার’–এ অনিল কাপুর ও সবিতা ধুলিপালা। আইএমডিবি

তবে এই প্রত্যাশাকে মোটেও চাপ হিসেবে নিতে রাজি নন অনিল।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, ‘দেখুন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সততা আর পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে আসছি। কখনো সফলতা পেয়েছি, কখনো পাইনি। আমি কাজ করে যাই, ফলের চিন্তা করি না। কেউ বেশি প্রশংসা করলে, মাথায় নিই না। আবার কেউ গালমন্দ করলেও পাত্তা দিই না!’ (সশব্দ হেসে)।

বলিউডে চার দশকের ভ্রমণে অনিল কাপুরের ঝুলিতে শতাধিক সিনেমা আছে। সংগত কারণেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি।

অনিল কাপুর। ফেসবুক থেকে

এখনো কর্মব্যস্ত এই তারকা বলেন, ‘সিনেমার এখন সুদিন ফিরেছে। অভিনেতা, পরিচালক, লেখকসহ সবার জন্যই দারুণ সময়। আমি এখন একের পর এক রোমাঞ্চকর সব চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছি। আগে অভিনয় করে মজা পেতাম। কিন্তু এখন অভিনয়কে আরও বেশি উপভোগ করছি। ওটিটির কারণে নিজেকে অন্বেষণ করার আরও বেশি সুযোগ পাচ্ছি।’

এত বছর বিটাউনে সগৌরব টিকে থাকার রহস্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে অনিল বলেন, ‘সঠিক নির্বাচন ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে সব ছবিতে আমার চরিত্রটিই যে সেরা হবে, তার কোনো মানে নেই। কিছু কিছু সময় পরিচালকের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আমি অনেক সময় কম পারিশ্রমিকে কাজ করেছি। অর্থের কথা মাথায় রেখে আমি কাজ করি না।’