ধানুশ–কৃতির সিনেমাটি কি ‘সাইয়ারা’কে ছাড়িয়ে যাবে
‘তেরে ইশক মে’-তে প্রেমের বহুমাত্রিক রূপ তুলে ধরেছেন আনন্দ এল রাই। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণি তারকা ধানুশ ও বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। গতকাল শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় সিনেমাটি।
কত আয় করল
মুক্তির পর ধানুশ ও কৃতি স্যানন অভিনীত এই ছবি পেয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া—কারও কাছে ধনুশের ‘অ্যাংরি লভার বয়’ অবতার মন জয় করেছে, আবার কেউ কেউ বলছেন এটি ‘দিল্লির বাতাসের চেয়েও বেশি বিষাক্ত’। সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও সাধারণ দর্শকের বেশ পছন্দ হয়েছে সিনেমাটি; প্রথম দিনেই আয় করেছে ১৭ কোটি রুপি। এটি চলতি বছর হিন্দি রোমান্টিক সিনেমাগুলোর মধ্যে প্রথম দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়। ২১ দশমিক ৫ কোটি রুপি আয় নিয়ে অনুমিতভাবেই শীর্ষে আছে মোহিত সুরির ‘সাইয়ারা’। মুক্তির প্রথম দিনেই ‘তেরে ইশক মে’ নিয়ে অন্তর্জালে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে মনে করেছেন সিনেমাটি ‘সাইয়ারা’র প্রথম সপ্তাহের আয়কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
হিন্দি সিনেমায় ধানুশের প্রত্যাবর্তন
‘রানঝানা’র পর দীর্ঘদিন ধানুশ হিন্দি সিনেমার বাইরে ছিলেন। আনন্দ এল রাইয়ের সঙ্গেই তাঁর সেই ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়েছিল। পরে ‘অ্যাতরঙ্গি রে’–তে আবারও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন। তবে সিনেমাটি সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পায়। ‘তেরে ইশম মে’র মাধ্যে নির্মাতা ও পরিচালকের সফল জুটির প্রত্যাবর্তন হলো।
সিনেমার গল্প
ছবিতে ধানুশকে দেখা গেছে এক আবেগপ্রবণ, অস্থির স্বভাবের তরুণের চরিত্রে। যে প্রেমে পড়ে মুক্তির (কৃতি শ্যানন)। কলেজজীবনে সম্পর্ক জমে উঠলেও পরে মুক্তি অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, আর সেখান থেকেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। এ আর রাহমানের সংগীত পরিচালনায় সিনেমার গানগুলো মুক্তির আগে থেকেই জনপ্রিয় হয়েছে।
তারকারা কে কী বলছেন
মুম্বাইতে চলতি মাসের মাঝামাঝি হয় ‘তেরে ইশক মে’র ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন পাত্র–পাত্রীরা। অনুষ্ঠানে সহ-অভিনেতা ধানুশের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগভরা কণ্ঠে কৃতি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কাজ করে সত্যিই দারুণ সময় কাটিয়েছি। আপনি ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। সূক্ষ্ম অভিনয়ে আপনি অনন্য। শংকর চরিত্রের কারণে জীবন্ত হয়ে উঠেছে মুক্তি।’ শুটিংয়ের সময় ধানুশ কীভাবে একমুহূর্তে বাস্তব থেকে চরিত্রে ঢুকে পড়তেন, সে দৃশ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে কৃতি বলেন, ‘শুটিং চলছিল, ক্যামেরা রোলিং পর্যন্ত ম্যাচের স্কোর দেখে নিলেন তিনি। আর এক সেকেন্ডের মধ্যেই শংকর হয়ে গেলেন। আমি কাউকে এভাবে কাজ করতে দেখিনি।’
মুক্তি চরিত্রটি নিয়ে কৃতি বলেন, ‘চরিত্রটি প্রথম শুনেই গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। তার বহুস্তর, ভেতরের দহন, আবার সরলতার ছোঁয়া—সব মিলিয়ে মুক্তি আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে। মুক্তির কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নিজের মিল পেয়েছি। তবে তার অনেক সিদ্ধান্তই আমি নিতাম না।’
ধানুশ বলেন, ‘শংকর ও মুক্তি—এই দুই চরিত্র আসলে আমরা একসঙ্গেই তৈরি করেছি। কৃতি ভীষণ মনোযোগী ও প্রতিভাবান। ছবির সৃজনশীল প্রক্রিয়াটা ছিল দুজনের মিলিত পরিশ্রমের ফল।’
পরিচালক আনন্দ এল রাইও দুই অভিনেতার প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, ছবির আবেগপ্রবণ দৃশ্যগুলোর গভীরতা এসেছে তাঁদের নির্ভুল অভিনয় ও বোঝাপড়া থেকে।