‘টারজান’ নায়িকা এখন কোথায়

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এর দৃশ্য
আইএমডিবি

ছিলেন তাঁর সময়ে হিন্দি সিনেমার অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রীদের একজন। পর্দায় সাহসী দৃশ্য, সহ–অভিনেতাদের সঙ্গে প্রেম মিলিয়ে বারবারই চর্চায় ছিলেন কিমি কাতকার। তবে খ্যাতির শীর্ষে থেকেও একসময় হিন্দি সিনেমা দুনিয়া থেকে সরে যান অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন

১৯৮৪ থেকে ১৯৯২—মোটে আট বছরের ক্যারিয়ার। এর মধ্যে অভিনয় করেছেন ৫০টির বেশি সিনেমায়। বেশ কটি সিনেমা করলেও দর্শকের কাছে এখনো তিনি রয়ে গেছেন ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এর নায়িকা হিসেবে। অনেকের কাছে তিনি ‘টারজান গার্ল’। ছবিতে রুবি চরিত্রে তাঁর সাহসী অভিনয় সে সময়ে আলোচনার ঝড় তুলেছিল। প্রায় একই সময় অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘মর্দ’ ও ঋষি কাপুর অভিনীত ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মুক্তি পেলেও কিমিকে দেখতেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেন দর্শক।

কেবল এ ছবিই নয়, বেশির ভাগ ছবিতেই কিমিকে দেখা গেছে খোলামেলা চরিত্রে। তবে পরে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, নিজের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বলিউড পরিচালক, প্রযোজকদের চাপে এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমনকি এক সিনেমার দৃশ্যে অসাবধানতাবশত তাঁর পোশাক খুলে গেলেও শুটিং বন্ধ করেননি পরিচালক। এমনকি কিমির অনেক আপত্তি সত্ত্বেও দৃশ্যটি ছবিতে রাখা হয়।

সহ–অভিনেতার সঙ্গে কিমির প্রেম নিয়েও অনেক কথা শোনা গেছে। অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, মনীশ বহল, ড্যানি ডেনজংপা, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দের সঙ্গে কিমির প্রেমের কথা জানা যায়। এর মধ্যে মনীশের সঙ্গে নাকি বাগ্‌দান পর্যন্ত হয়েছিল!

১৯৯২ সালে ‘জুলম কি হুকুমত’ ছবিতে অভিনয় করেন কিমি। এরপর আর হিন্দি ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে। পরে আলোকচিত্রী ও প্রযোজক শান্তনু শোরেকে বিয়ে করেন।

‘জুলম কি হুকুমত’ ছবির পোস্টার
আইএমডিবি

এরপর সন্তানের চিকিৎসাসূত্রে দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। ভারতের ফিরে এসে পুণেতে থাকতেন। পরে গোয়াতে বাড়ি কিনে সেখানেই থাকতে শুরু করেন। জানা গেছে, বর্তমানে গোয়াতেই আছেন কিমি কাতকার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, টাইমস অব ইন্ডিয়া