দাউদ ইব্রাহিমের প্রেমে পড়েন এই নায়িকা, এরপর...
মেহবিশ হায়াত কেবল পাকিস্তানের সিনেমা-টেলিভিশনজগতের পরিচিত মুখই নন, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কারণে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন বারবার। ভারতের কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোর খবর চলচ্চিত্রজগতে প্রবল আলোচনা সৃষ্টি করেছিল।
ক্যারিয়ার ও সাফল্য
মেহবিশ হায়াত পাকিস্তানের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনশিল্পের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। নিজের সময়ে তিনি ছিলেন দেশটির সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের একজন। ২০১৫ সালে ‘জাওয়ানি ফির নয়ি আনি’ চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁর সিনেমাজীবন শুরু হয়। এরপর তিনি ‘অ্যাক্টর ইন ল’ (২০১৬), ‘লোড ওয়েডিং’ (২০১৮) সিনেমায় অভিনয় করে বক্স অফিসে সাফল্য পান। এসব চলচ্চিত্র পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক
২০১৯ সালে পাকিস্তানি সরকার মেহবিশ হায়াতকে ‘তমঘা-ই-ইমতিয়াজ’ সম্মান প্রদান করলে তাঁর নাম দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জড়ানোর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, এই সম্মান তিনি দাউদের সাহায্যে পেয়েছেন। এমনকি কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, আইটেম সংয়ে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে দাউদ তাঁকে পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে বড় সুযোগ পেতে সাহায্য করেছিলেন। তবে মেহবিশ এ বিষয়ে কখনো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি।
বলিউডে সুযোগ পেয়েও বাদ
মেহবিশ হায়াতের ক্যারিয়ারে আরেকটি চমকপ্রদ মুহূর্ত ছিল, যখন খবর আসে যে তিনি বলিউডের ‘ফ্যানি খান’ সিনেমায় অভিনয় করছেন। পরে অবশ্য সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন। সেই চরিত্রে নেওয়া হয় ঐশ্বরিয়া রাইকে। কেমন মেহবিশ বাদ পড়েন, তা নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায়। তবে আসল কারণ হলো, ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ করায় নিষেধজ্ঞা থাকায় মেহবিশকে বাদ দেওয়া হয়।
রাজনীতির প্রতি আগ্রহ ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন
অভিনয়ের পাশাপাশি মেহবিশ হায়াতের রাজনীতিতে আগ্রহও বিতর্কের বিষয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘যদি একজন ক্রিকেটার ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, তবে একজন অভিনেত্রী কেন নয়?’
তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসা উচিত। মেহবিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর রাজনৈতিক মতামত এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম