এক শ্বেতা কত চরিত্র

শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন শ্বেতা
ইনস্টাগ্রাম

শ্বেতা বসু প্রসাদ নামটির সঙ্গে কমবেশি অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে ওটিটির বদৌলতে অনেক ঘরেই পৌঁছে গেছেন এই বাঙালি কন্যা। এবার তাঁকে খ্যাতনামা পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের আগামী ছবি ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’-এ দেখা যাবে। জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। মধুরের এই ছবিতে সম্পূর্ণ এক অন্য ধারার চরিত্রে আসতে চলেছেন শ্বেতা।

শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন শ্বেতা। ‘মকড়ি’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন। শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলেগু ছবিতেও তাঁর দাপট দেখা গেছে। মাঝখানে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শ্বেতা। সব ঝড়ঝাপটা সামাল দিয়ে আবার কক্ষপথে ফিরেছেন তিনি।

‘মকড়ি’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন শ্বেতা
ছবি : সংগৃহীত

পর্দায় কখনো শ্বেতাকে সাহসী সাংবাদিক, দুঁদে আইনজীবী, কখনো বা সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রে দেখা গেছে। ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’ ছবিতে শ্বেতা এবার যৌনকর্মীর ভূমিকায় আসতে চলেছেন। মুম্বাইয়ের যৌনপল্লি কামাতিপুরার যৌনকর্মী মেহেরুন্নিসার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যৌনকর্মীসহ আমরা সবাই লকডাউনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছি। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, যৌনকর্মীর চরিত্রের জন্য আমি নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছি। এটি আমার কাছে অন্য সব চরিত্রের মতো আরেকটি চরিত্র ছিল। একজন মানুষের কাহিনি ছিল। অভিনেতা হিসেবে আমরা সত্যিই ভাগ্যবান, নতুন নতুন চরিত্রে নিজেদের আবিষ্কার করার সুযোগ পাই।’

‘ইন্ডিয়া লকডাউন’–এর পোস্টার

নিজের চরিত্রের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শ্বেতা আরও বলেন, ‘এই চরিত্রের জন্য আমি যথেষ্ট গবেষণা করেছিলাম। মধুর স্যার ও তাঁর দল আমাকে কামাতিপুরায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলাম। একজন যৌনকর্মীর শরীরী ভাষা, কথা বলার ভঙ্গিসহ সার্বিক আচরণ ভালোভাবে লক্ষ করেছিলাম। তাঁদের জীবনকে অনুভব করার চেষ্টা করেছিলাম।’

শ্বেতাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস থ্রি’ ওয়েব সিরিজে। এই সিরিজে তিনি একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে এখানে চরিত্রের জন্য নিজেকে অন্যভাবে প্রস্তুত করেছিলেন অভিনেত্রী। শ্বেতা বলেন, ‘প্রথমবার আইনজীবী চরিত্রে অভিনয় করেছি। সত্যি বলতে, বাস্তবে কোনো আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি। কোনো কেস নিয়ে পড়াশোনাও করিনি। একটি চরিত্রকে নির্মাণ করা আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। তা সে হতে পারে যেকোনো চরিত্র। যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার আগে সেই চরিত্রের পেছনের কাহিনি লিখি। চরিত্রটির জন্ম কোন শহরে, কোথায় সে পড়াশোনা করেছে আর কোন পরিবেশে সে বড় হয়ে উঠেছে।’

আরও পড়ুন

সিরিজটি সম্পর্কে শ্বেতা আরও বলেন, ‘শুটিং শুরু হওয়ার ২০-২৫ দিন আগে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এর চিত্রনাট্য এসেছিল। সিরিজটিতে আমার সংলাপ ছিল খুব টেকনিক্যাল। তাই আরও বেশি খেয়াল রাখতে হচ্ছিল। শুটিং শুরু হওয়ার আগে রোজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নিজের দৃশ্যগুলো পড়তাম। শুটিং শুরু হওয়ার আগেই প্রায় ১৫০ বার দৃশ্যগুলো পড়ে ফেলেছিলাম।’

আরও পড়ুন