ফাতিমার ফিল্মি ভ্রমণকে কঠিন করে দিয়েছিল ‘দঙ্গল’
২০১৬ সালে আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবির মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে বলিউডে অভিষেক। বক্স অফিসে ঝড় তোলা ছবিটি দিয়ে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। এরপর নায়িকা হিসেবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আট বছর কেটে গেছে। তারপরও ফাতিমার সঙ্গে যেকোনো আলাপচারিতায় চলে আসে ‘দঙ্গল’ প্রসঙ্গ। ‘এই ছবির সফলতা আমাকে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। সত্যি বলতে, “দঙ্গল” ছবির পর আমার ফিল্মি ভ্রমণ আরও কঠিন হয়ে যায়। আমার খালি মনে হচ্ছিল যে এই ছবির মাধ্যমে আমি যে ভাবমূর্তি এবং ‘বেঞ্চমার্ক’ তৈরি করেছি, আমি আমার পরবর্তী ছবির মাধ্যমে সবার সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব কি না। আমি নিজেই নিজের প্রতি অনাস্থা দেখাতে শুরু করেছিলাম। “দঙ্গল” ছবির পর মানুষ হয়তো মনে করছেন, আমি ভালো অভিনেত্রী, আমি কি আদৌ তা–ই? এসব প্রশ্ন তখন আমাকে তাড়া করত। একক ছবি করার সাহস দেখাতে পারতাম না। মনে হতো, সমগ্র ছবির দায়ভার আমার ওপর পড়বে। আর ছবিটা যদি ভালো না হয় বা দর্শক পছন্দ না করেন, আমি তাহলে কী করব? কোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় আমাকে তখন একরাশ ভয় এবং অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরত। আমার বুঝে উঠতে সময় লেগেছিল যে ব্যর্থতা আসতেই পারে আর ভুলভ্রান্তি হতেই পারে,’ অনেকটা এক নিশ্বাসেই কথাগুলো বললেন ফাতিমা।
অনুরাগ বসুর ‘লুডো’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে ফাতিমা বলেন, ‘“লুডো” আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিল। “থাগস অব হিন্দুস্তান” ছবির পর আমি “লুডো”র শুটিং করেছিলাম। আমার তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের চরম অভাব ছিল। তবে “লুডো”র শুটিংয়ের সময় আমি ভেবেছিলাম, যা হবে হোক, আমাকে আমার কাজ করে যেতে হবে। আর আমার নিজের প্রতি আস্থা বাড়াতে হবে।’
বড় পর্দায় ফাতিমাকে শেষ ছবি ‘শ্যাম বাহাদুর’–এ দেখা গেছে। মেঘনা গুলজার পরিচালিত এই ছবিতে তাঁকে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ফাতিমা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি এখন যেসব কাজ করছি, তাতে আমি স্বচ্ছন্দ। আর ক্যারিয়ারের যেখানে অবস্থান করছি, তাতে আমি খুশি। আর সময়ের সঙ্গে আমি এটা বুঝেছি যে সফলতা আসবে এবং যাবে। জীবনে চড়াই-উতরাই আসবে। তাই যা আসবে, আমি তাতে স্বচ্ছন্দ। আর আমি খোলামনে সবকিছু গ্রহণ করব।’
এ বছর মুক্তি পাবে ফাতিমা অভিনীত ‘মেট্রো ইন দিনো’, ‘উল জালুল ইশক’ ও ‘আপ জ্যায়সা কোই’।