‘আমার কাছে প্রেম সীমাহীন’, বললেন ‘লাভ ইন ভিয়েতনাম’ নায়িকা
আট বছর বয়সে নাচ দিয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন অবনীত কৌর। ছোট পর্দার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ড্যান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স লিটল মাস্টার্স’–এ সেরা হতে না পারলেও দর্শককে মুগ্ধ করেছিল তাঁর নাচ ও অভিব্যক্তি। সেদিনের সেই খুদে শিল্পীই প্রমাণ করলেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ধীরগতিতে হলেও অনেকটা পথ অতিক্রম করেছেন অবনীত, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র–দুনিয়ায় লিখিয়েছেন নিজের নাম।
ভারত-ভিয়েতনাম যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘লাভ ইন ভিয়েতনাম’–এর মূল নায়িকা হলেন অবনীত। রোমান্টিক মিউজিক্যাল ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে আছেন শান্তনু মহেশ্বরী। রাহাত শাহ কাজমি পরিচালিত ছবিটি ১২ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে। ২০২৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লাভ ইন ভিয়েতনাম’–এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল।
দৈনিক ভাস্কর পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অবনীত জানিয়েছেন, ভালোবাসার জন্য বাস্তবে যেকোনো সীমা অতিক্রম করতে তিনি প্রস্তুত। তাঁর ভাষ্যে, ‘যত দূর ভাবতে পারি, নিজের ভালোবাসার জন্য তত দূর পর্যন্ত যেতে পারি। আমার কাছে প্রেম হলো সীমাহীন। আমার মতে, প্রেম যেকোনো সীমা বা বাধার ঊর্ধ্বে।’
‘লাভ ইন ভিয়েতনাম’–এর প্রসঙ্গে অবনীত জানিয়েছেন, এটি এক মিষ্টি রোমান্টিক ছবি। এ ছবির মাধ্যমে ভিয়েতনামের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, শান্ত ও সুন্দর পরিবেশের সঙ্গে রোমান্টিক একটা কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।
ভিয়েতনামে শুটিং চলাকালে ভাষাগত কোনো সমস্যা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অবনীত বলেন, ‘ভাষার প্রাচীর থাকতেই পারে, কিন্তু সব ভাষার আবেগ একই রকম। আর প্রেম প্রকাশ করতে ভাষার প্রয়োজন হয় না।’
ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রকল্প নিয়ে অবনীত বলেন, ‘কখনো ভাবিনি যে ভিয়েতনামে আমার আন্তর্জাতিক অভিষেক হবে। আমার জীবনে এটা ঘটেছে বলে আমি অত্যন্ত খুশি। ওখানকার বাজার বিশাল, যার কোনো ধারণা আমার ছিল না। ভিয়েতনাম ও ভারতের মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় হবে। ভিয়েতনামে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা।’
পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে মুম্বাইয়ের বিনোদন আঙিনায় নাচের মাধ্যমে পা রেখেছিলেন ছোট্ট অবনীত। একের পর এক টেলিধারাবাহিকে ক্রমাগত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বহু হিট ধারাবাহিক। ‘মর্দানি’, ‘করিব করিব সিঙ্গেল’–এর মতো ছবিতে ক্যামিও করেছেন তিনি। ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ অবনীতের অভিনয়যাত্রাকে আরও আলোকিত করে।
এ ছবিতে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী থেকে মূল অভিনেত্রী হিসেবে উঠে আসতে অবনীতকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই পথের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চড়াই–উতরাইয়ে ভরা এই পথ আমাকে অতিক্রম করতে হয়েছে। দর্শকের কাছ থেকে অফুরান ভালোবাসা এবং ভালো কাজ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। এ ছবির জন্য আমি অত্যন্ত রোমাঞ্চিত। আশা করি, দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।’