‘যেকোনো সাইজের মানুষই সুন্দর’

সোনাক্ষী সিনহা

ব্যক্তিগত জীবনে বারবার বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা। পর্দাতেও তিনি এবার এমন এক চরিত্রে আসতে চলেছেন, যেখানে বারবার তাঁকে বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হবে। মুক্তি আসন্ন ডাবল এক্সএল ছবির মূল দুই চরিত্রের একটি করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। সতরাম রমানি পরিচালিত ছবিটিতে সোনাক্ষী এক উঠতি স্টাইলিস্ট। ছবিতে তাঁকে স্থূলকায় মেয়ে হিসেবে দেখা যাবে। ব্যক্তিগত জীবনেও এই নায়িকা একসময় স্থূলকায় ছিলেন। তবে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে তিনি এখন স্লিম আর ফিট। ছবির প্রয়োজনে আবার তাঁকে হয়ে উঠতে হয়েছে ডাবল এক্সএল।

এই ছবির প্রচারণায় এসে সম্প্রতি এই তারকাকন্যা বলেন, ‘নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ছবির সঙ্গে সব মেয়ে নিজেদের রিলেট করতে পারবেন। ছবিটি অত্যন্ত বাস্তবিক। ছবিতে স্পষ্ট কথা বলা হয়েছে। সব মেয়ের কথা এই ছবিতে বলা হয়েছে।’

সোনাক্ষী সিনহা

অতিরিক্ত ওজনের জন্য সোনাক্ষীকে একসময় নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষের নানা কটু কথা শুনে একসময় আত্মবিশ্বাস চুরমার হতে বসেছিল। একজন অভিনেত্রী হিসেবে অচেনা লোকের কাছ থেকে নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনলে খারাপ লাগবেই তো। মানুষ এ রকম কথা কেন বলছে, বুঝে উঠতে পারতাম না। তবে মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েও আমি নিজেকে সামলে নিয়ে আগে বাড়তে জানি।’

সোনাক্ষী সিনহা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সোনাক্ষীর ভাষ্যে, ‘যেকোনো সাইজের মানুষই সুন্দর। ছোটবেলা থেকে আমি বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছি। কারণ, আমার অতিরিক্ত ওজন ছিল। তা সত্ত্বেও আমি খেলাধুলা করতাম। খেলাধুলায় আমার আত্মবিশ্বাস কোনো দিনই কম ছিল না। একটা মানুষের স্থূলতার পেছনে নানা কারণ থাকে।’ ‘আমাদের সবাইকে এই ধরনের চিন্তাভাবনায় বদল আনতে হবে। আমার মনে হয়, গণমাধ্যমের এ ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব আছে,’ সোনাক্ষীর মন্তব্য।

সোনাক্ষী সিনহা

হাসি-মজার মাধ্যমে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ডাবল এক্সএল ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক। ছবিতে দুই মূল পুরুষ চরিত্র করেছেন জহির ইকবাল আর মহত রাঘবেন্দ্র। ছবিটি আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে।