'আমার কাজ করার খিদে তখন প্রচুর'
মিমির পর থেকে কৃতি শ্যাননের ভাগ্যের চাকাটা ঘুরে গেছে। এই ছবির পর থেকেই সু-অভিনেত্রী হিসেবে তাঁকে সবাই কদর করছেন। প্রযোজক, পরিচালকদেরও কৃতির প্রতি আস্থা বেড়ে গেছে। তাঁর আগামী প্রকল্পগুলোর দিকে একটু চোখ রাখলেই এটা বোঝা যায়। বৈচিত্র্যময় সব ছবিতে উপচে পড়ছে কৃতির ঝুলি। গতকাল বুধবার ভেড়িয়া ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে তাঁর এই ভ্রমণ নিয়ে কিছু কথা বলেছেন এ বলিউড নায়িকা।
কমেডি-হরর ‘ভেড়িয়া’য় তাঁকে ডা. আনিকার ভূমিকায় দেখা যাবে। পৌরাণিক মহাকাব্য রামায়ণের আধারে নির্মিত ছবি ‘আদিপুরুষ’-এ তিনি জানকীর বেশে আসতে চলেছেন। অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী ছবি ‘গণপথ’-এ কৃতিকে জোর অ্যাকশন করতে দেখা যাবে। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম জসসি। শাহেজাদা ছবিতে কৃতি বলিউড নায়ক কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে রোমান্সে মাতবেন। অ্যাকশন-ড্রামাধর্মী এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম আয়শা ওবেরয়।
নিজের আগামী ভ্রমণ সম্পর্কে এই বলিউড নায়িকা বলেছেন, 'আমি অত্যন্ত ভাগ্যবতী, একই সময়ে এ ধরনের ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। আসলে তখন কোভিড থেকে আমরা সবে নিষ্কৃতি পেয়েছি। আমার কাজ করার খিদে তখন প্রচুর। আমার কাছে এসব দুর্দান্ত ছবি আর চরিত্রের প্রস্তাব আসতেই আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।'
কৃতি আরও বলেছেন, 'ভেড়িয়া আর আদিপুরুষ ছবির শুটিং একই সঙ্গে করছিলাম। আর এই দুই ছবি সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর। শুধু ছবি নয়, আমার চরিত্রও একদম আলাদা। একই সঙ্গে ভিন্নধারার ছবিতে অভিনয় করা বেশ কঠিন ছিল। আমি নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন ভালো পরিচালকেরা পাশে থাকেন, তখন নিজেকে তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণ করে দিতে হয়। বাকিটা তাঁদের হাতে থাকে।'
কৃতির মতে, 'একজন অভিনয়শিল্পীর সব সময় ভালো কাজের খিদে থাকে। আমি যখন পেছনের দিকে ফিরে তাকাই, তখন খুবই খুশি হই। কারণ, হঠাৎ করে আমি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাইনি। ধীরগতিতে আর অটলভাবে ক্রমে এগিয়ে চলেছি। অভিনয়ের তথাকথিত কোনো প্রশিক্ষণ আমি নিইনি। আগে কখনো নাটকে অভিনয় করিনি। আগে কল্পনাও করিনি যে অভিনেত্রী হব। কাজের মাধ্যমে আমি ক্রমে শিখে চলেছি।'
‘দিলওয়ালে’ ছবিতে বরুণের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কৃতি। ভেড়িয়ায় দ্বিতীয়বার একসঙ্গে পর্দায় আসতে চলেছেন তাঁরা। বরুণের প্রসঙ্গে কৃতির মন্তব্য, বরুণ এই ছবির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। লুক, অভিনয়, শরীর—সবকিছুর জন্যই তিনি পরিশ্রম করেছেন। ছবিতে বরুণ প্রকৃত 'ভেড়িয়া' হয়ে উঠেছেন।