নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন কৃতি

কৃতি শ্যানন

বলিউডের নায়িকারা অভিনয়ের পাশাপাশি এখন প্রযোজনার দুনিয়ায় নিজেদের নাম লেখাচ্ছেন। এই দুনিয়ায় যোগ দিয়েছেন কৃতি শ্যানন। এই অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন বলে জানালেন।
সম্প্রতি মুম্বাইতে আয়োজিত ‘নেকসট অন নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া’ আসরে কৃতি শ্যানন উপস্থিত ছিলেন। তাঁর অভিনীত ছবি দো পত্তি নেটফ্লিক্সে মুক্তির অপেক্ষায় আছে। নেটফ্লিক্সের এই অনুষ্ঠানে এদিন দো পত্তি ছবির টিজার মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির টিজারে আবার বড়সড় চমক দিয়েছেন কৃতি।
শশাঙ্ক চতুর্বেদী পরিচালিত এই ছবির মূল চরিত্রে কৃতি ছাড়া আছেন কাজল। ক্রাইম-থ্রিলার ধর্মী ছবি দো পত্তির মাধ্যমে এবার প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন কৃতি। শুধু অভিনয় নয়, ছবিটির নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গেও যুক্ত আছেন এই তারকা। সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট কৃতি। এমনটাই চেয়েছিলেন কৃতি। ২০২১ সালে মিমি ছবিতে অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এই ছবির কারণে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জয় করেছিলেন কৃতি।

কৃতি শ্যানন

‘নেকসট অন নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া’ আসরের শুরুতে মিমি ছবির প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘মিমি ছবির পর আমি এমন কোনো ছবি অন্বেষণ করতে চেয়েছিলাম, যা অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে যেন চ্যালেঞ্জ দেয়। এত দিন আমি এমন চরিত্রের সন্ধানে ছিলাম, যার মধ্যে অনেক স্তর থাকবে। চরিত্রটি গভীর হবে। আর এমন এক চরিত্র, যা আমি আগে কখনো করিনি। সত্যি বলতে, আমি আমার মনের মতো কিছু পাচ্ছিলাম না। আমার বিশ্বাস যে আপনি নিজের মনের মতো কিছু করার যখন সুযোগ পান, তা আপনাকে সত্যি রোমাঞ্চিত করবে। দো পত্তি আমার কাছে এমন এক সুযোগ।’

কৃতি শ্যানন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কৃতি প্রযোজক হিসেবে অভিষেকের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘প্রত্যেক অভিনেতার জীবনে এমন এক সময় আসে, যখন প্রশ্ন জাগে, এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? অভিনয়ের বাইরেও আমি সব সময় ছবির অংশ হতে চেয়েছি। আর নতুন কোনো গল্প বলতে চেয়েছি। আমি চেয়েছি, সৃজনশীল কাজের সঙ্গে নিজেকে নিযুক্ত করতে। প্রযোজক হিসেবে আমি দো পত্তিকে বেছে নিয়েছি। কারণ, এর গল্প আমাকে দারুণভাবে রোমাঞ্চিত করেছে।’

ছবির গল্প লিখেছেন কণিকা ধিলন। নেটফ্লিক্সের এই অনুষ্ঠানে কৃতি কণিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কণিকাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ, আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি মনে করি, মানুষ সম্পূর্ণ সাদা বা কালো বলে কিছু হন না। আমার চরিত্রটি এখানে ধূসর। দো পত্তির সঙ্গে আমার এই ভ্রমণ খুব সুন্দর। ছবির চিত্রনাট্য থেকে সংগীত সৃজনশীল—সব দিকের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম। সব মিলিয়ে আমাকে তৃপ্ত করেছে এ ছবি।’