ব্যর্থতাও ইতিবাচক শ্রদ্ধার কাছে
সফলতার স্বাদ পেতে ব্যর্থতার স্বাদ নেওয়া জরুরি, এমনটাই মনে করেন শ্রদ্ধা কাপুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বলিউড অভিনেত্রী সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। স্ত্রী ২ ছবির সাফল্য প্রসঙ্গে শ্রদ্ধার ভাষ্য, ‘এই আমার জন্য পরম পাওয়া। শুধু তা–ই নয়, হিন্দি ছবির জগতের জন্য এটা ভালো একটা দিক। এই ছবিতে অভিনয় করে প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সব মিলিয়ে সত্যি আমি মুগ্ধ। সত্যি বলতে, আমি এমন অনেক ছবির অংশ ছিলাম, যে ছবিগুলো ভালো করেছে। তবে স্ত্রী ২ নিশ্চয় আমার সফলতার উড়ানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে।’
শ্রদ্ধার কাছে সফলতার সংজ্ঞা, ‘যেটা করতে ভালোবাসি আর যেটা করলে খুশি হই, সেটাই আমার কাছে সফলতা। সফলতা মানে আমার কাছে মনের শান্তি। পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের ঘিরেই আমার সব। তাই কাজ এবং প্রিয়জনদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলাও আমার কাছে সফলতা। আর নিজের লক্ষ্যকে অনুসরণ করাও আমার কাছে সফলতার একটা সংজ্ঞা।’
শ্রদ্ধা মনে করেন যে সফলতার পাশাপাশি মানুষের জীবনে ব্যর্থতা আসা জরুরি। তাঁর ভাষ্যে, ‘সফলতার পথে ব্যর্থতা গুরুত্বপূর্ণ এক উপাদান। ব্যর্থতা ছাড়া কখনোই আপনি সাফল্য পেতে পারেন না। কখনো শুনিনি যে কেউ সোজা সাফল্য অর্জন করেছেন।
সফলতার পথে সব সময় কোনো না কোনো বাধা থাকে। আর সেই বাধা অতিক্রম করার পরই সফলতা অর্জন করা যায়। আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছে। অনেকে মনে করেন ব্যর্থতা মানেই নেতিবাচক বিষয়। কিন্তু আমি বলব, আপনি যদি একে ইতিবাচকভাবে নেন তাহলে আপনার ভ্রমণ আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডে ভৌতিক হাসির ছবির জয়জয়কারই বেশি। এ ধরনের ছবি কি দর্শক বেশি পছন্দ করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে শ্রদ্ধা জানান, ‘আমি মনে করি না যে কেউ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারবেন যে এই ঘরানার ছবি সফল হবেই হবে। আমি মনে করি আমাদের উচিত মাথা নিচু করে ভালো ছবি বানানো আর লক্ষ্যে অবিচল থাকা।
যে ধরনের ছবি আমরা নির্মাণ করতে চাই, আমাদের উচিত সে ধরনের ছবি নির্মাণ করা। এরপর তা দর্শকের হাতে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। একমাত্র দর্শকই জানেন তাঁরা কী চান।’