তামিলনাড়ুর পর এবার পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলো ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
পশ্চিমবঙ্গে আলোচিত-সমালোচিত হিন্দি সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের
স্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে নবান্ন সূত্র জানিয়েছে, শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিনেমায় যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা রাজ্যটির শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে তামিলনাড়ুতেও এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার আবার ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করেছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আগুন নিয়ে খেলছে। তারা জাত-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” কেন? একটি সম্প্রদায়কে হেনস্তা করার জন্য। “দ্য কেরালা স্টোরি”? সে-ও এক অসত্য ও বিকৃত কাহিনি।’
‘দ্য কেরালা স্টোরি’র গল্প আইএসে যোগ দেওয়া ধর্মান্তরিত কেরালার নারীদের নিয়ে। ছবিতে ধর্মান্তরিত নারীর যে সংখ্যা দাবি করা হয়েছে, যা নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হচ্ছে। ছবিটি নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারই ভিজয়ন। তিনি বলেছেন, এটা ‘প্রচারণামূলক’ সিনেমা, কোনোভাবেই তাঁর রাজ্যের গল্প নয়।
ছবিটির মুক্তি বাতিল চেয়েও আবেদন করা হয়। তবে গত মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দেন। নানা বিতর্কের মধ্যে অবশেষে ১০টি দৃশ্য কর্তন সাপেক্ষে সেন্সর সনদ পায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। গত শুক্রবার ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবিটি।