তিন কারণে ‘যোদ্ধা’য় রাশি

রাশি খান্নাইনস্টাগ্রাম

হিন্দি ছবির জগতে অনেক আগেই অভিষেক হয়েছে দক্ষিণি নায়িকা রাশি খান্নার। জন আব্রাহামের সঙ্গে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ ছবি দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু। তবে এবার পুরোদস্তুর নায়িকা হিসেবে রাশির বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে।

রাশি খান্না
ইনস্টাগ্রাম থেকে

ধর্মা প্রোডাকশনের আগামী ছবি ‘যোদ্ধা’তে দেখা যাবে তাঁকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন এই ছবি করার প্রধান তিন কারণের কথা।

ফিল্মফেয়ার সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, “যোদ্ধা” করার প্রথম কারণ এই ছবিতে আমার চরিত্রটি। আমার চরিত্রটি খুব প্রাণবন্ত, এখানে আমার অনেক কিছু করার আছে। এ চরিত্র পর্দায় তুলে ধরা বেশ কঠিন। এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি।

রাশি খান্না
ইনস্টাগ্রাম থেকে

দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে না কাজ করতে চায়! “যোদ্ধা” করার আরেকটা কারণ, সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে আমি অভিনয় করব।

আরও পড়ুন

“শাহেনশাহ”র পর তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। প্রতিবার কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় আমি দেখি, দর্শককে নতুন কী দিতে পারব। আমার অভিনীত চরিত্রটি তাঁদের কতটা আকৃষ্ট করবে। এ ছবিতে আমার চরিত্রটা যেভাবে লেখা হয়েছে, আমি নিশ্চিত যে দর্শককে তা প্রভাবিত করবে। আমার চরিত্রটা কর্মজীবী নারীদের বেশি আকৃষ্ট করবে।’

দক্ষিণ আর বলিউডের মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলার ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রাশিকে? অভিনেত্রীর জবাব, ‘এর কারণে আমাকে অধিকাংশ সময় উড়োজাহাজে থাকতে হয়।

রাশি খান্না
ইনস্টাগ্রাম থেকে

এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ (সশব্দ হেসে)। সত্যি কথা বলতে, দুই ইন্ডাস্ট্রিতে সমতা বজায় রাখতে গিয়ে আমি কোনো চ্যালেঞ্জ বোধ করি না। আমি এখনো পুরোদমে দক্ষিণি ছবিতে কাজ করছি। আমি সব ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছি। সবাই তো ভালো ছবি নির্মাণ করতে চায়। আমরা অভিনয়শিল্পীরা সেই সব ছবির অংশ হতে চাই।’

অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী ছবি ‘যোদ্ধা’ পরিচালনা করছেন সাগর আমব্রে ও পুষ্কর ওঝা। এই ছবিতে রাশি আর সিদ্ধার্থ ছাড়াও আছেন দিশা পাটানি।

রাশি খান্না
ইনস্টাগ্রাম থেকে

ছবিটি আগামী বছরের ১৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা। রাশিকে এর আগে শহীদ কাপুরের সঙ্গে ‘ফারজি’ ওয়েব সিরিজে দেখা গিয়েছিল। তার আগে অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘রুদ্র: দ্য এজ অব ডার্কনেস’ সিরিজেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।