প্রথম ডেটে কী হয়েছিল সারা রাত
বলিউড অভিনয়শিল্পী তারা সুতারিয়া ও বীর পাহাড়িয়ার প্রেমের গুঞ্জন চলছে অনেক দিন ধরেই। তবে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দুজনেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ট্রাভেল অ্যান্ড লেইজার ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন এই তারকা যুগল।
সব সময় একে অন্যের পাশে
এই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, কোন বিষয়টি তাঁদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়েছে? তারা সুতারিয়া বলেন, ‘আমরা ভালো ও খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে থাকি, যেন আমরা একে অপরকে সারা জীবন চিনি। আর প্রথম দিন থেকেই সবকিছু খুলে বলি। কোনো কিছু লুকাই না।’
প্রথম ডেট
যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ঠিক কোন মুহূর্তে তাঁরা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন? বীর আপ্লুত হয়ে জবাব দেন—সেটা ছিল তাঁদের প্রথম ডেট নাইট। সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা সম্ভবত আমাদের প্রথম ডেট ছিল, যেখানে আমি নিজে পিয়ানো বাজিয়েছিলাম, আর ও (তারা) ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত একটানা গান গেয়েছিল।’ তিনি জানান, সুর আর কথার সেই জাদুকরি সন্ধ্যাই ছিল তাঁদের চিরকালের সম্পর্কের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।
প্রথম ভ্রমণ
প্রথমবার একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পারিবারিক প্রথা মেনে ইতালির এক দ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মা বলেন প্রিয় বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষকে প্রথমবার ইতালির এই দ্বীপে নিয়ে গেলে সেই সম্পর্ক চিরজীবন স্থায়ী হয়ে থাকে। তেমনই আমরা করেছিলাম।’
মাঝেমধ্যেই নিজেদের বিশেষ মুহূর্তগুলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন তাঁরা। বীরকে শেষবার দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ ছবিতে। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তারা? সেই উত্তর যদিও দেননি তিনি।
কী পছন্দ
তারাকে জিজ্ঞেস করা একে অপরের কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি কী ভালোবাসেন? তখন তিনি বলেন, ‘এমন অস্থির সময়ে, আমি সবচেয়ে বেশি গর্বিত যে আমরা আমাদের ভালোবাসা গ্রহণ করেছি। আমাদের শহর বা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানেই থাকি না কেন; এমন কিছু প্রতিদিন দেখা যায় না।’
বীরও জানান, তাঁরা একে অপরের সামনে তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম ডেট থেকেই বুঝে গেছি দুজনেই একে অন্যের জন্য তৈরি।’
সাক্ষাৎকারে তারা সুতারিয়াও স্বীকার করেন, তাঁদের মধ্যেকার এই যোগসূত্র একদিনে তৈরি হয়নি, বরং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসা দিয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও মজবুত হয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমরা যেন জন্ম জন্মান্তর ধরে একে অপরের পাশে আছি। সুখে-দুঃখে হাত ধরে থাকা, প্রথম দিন থেকেই সবকিছু নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা—এটাই আমাদের বন্ধনের মূল ভিত্তি।’