কীভাবে ঘুঁটে দিতে হয়, শিখলেন নিত্যা
‘ইডলি কড়াই’ সিনেমার সুবাদে আবার আলোচনায় দক্ষিণি অভিনেত্রী নিত্যা মেনন। এর আগে ২০২২ সালে ‘থিরুচিত্রামবালম’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার জয় করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে নিত্যার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণি তারকা ধানুশ। ‘ইডলি কড়াই’ ছবিতে আবার একসঙ্গে তাঁরা। সম্প্রতি এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে নিত্যা তাঁর এই নতুন ছবি ছাড়া ধানুশের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে কিছু কথা ভাগ করে নিয়েছেন।
চরিত্রের মাধ্যমে নতুন অভিজ্ঞতা
চরিত্রের রঙে নিজেকে পুরোপুরি রাঙিয়ে নিতে ভালোবাসেন নিত্যা। চান চরিত্রের মাধ্যমে নতুন কিছু শিখতে আর নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। ‘ইডলি কড়াই’ সিনেমার ক্ষেত্রেও তা–ই করেছিলেন অভিনেত্রী। নিত্যা জানিয়েছেন, ‘ছবিটির জন্য আমি শিখেছি, কীভাবে ঘুঁটে দিতে হয়। আমাকে পরিচালক জিজ্ঞেস করেছিল, কাজটি করতে ইচ্ছুক কি না। বলেছিলাম, “নিশ্চয় আমি করব।” জীবনে প্রথম হাতে করে কীভাবে ঘুঁটে দিতে হয়, শিখেছিলাম। এটা আমার জন্য সম্পূর্ণ এক নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। আমি চাই বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে।’
চাপ নেই
‘থিরুচিত্রামবালম’ ছবিতে নিত্যা ও ধানুশের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আগের সিনেমার সফলতার পর ‘ইডলি কড়াই’ ছবির আগে কি চাপে ছিলেন দুজন? অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘সৌভাগ্যবশত আমরা সে রকম ধরনের অভিনেতা নই যে চাপ নেব। ছবিটা আগের ছবির থেকে একদম আলাদা। আমাদের দুজনের অভিনীত চরিত্রটা একদম ভিন্ন। মনে হয়েছিল, দর্শক আমাদের আরও ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবেন। এটা খুবই আবেগময় এক সিনেমা।’
পরিচালক ধানুশ বনাম অভিনেতা ধানুশ
‘ইডলি কড়াই’ ছবিতে ধানুশ শুধু অভিনয় করেননি, পরিচালনাও করেছেন। অভিনেতা আর পরিচালক ধানুশের মধ্যে পার্থক্যের প্রসঙ্গে নিত্যা বলেন, ‘আমার জন্য একই রকম ছিল। ধানুশ এমন এক মানুষ, যে প্রকৃতই আমার মধ্যকার প্রতিভা দেখতে পেয়েছিল। আর আমার ভেতরের প্রতিভাকে আরও উদ্ভাসিত করতে সে ক্রমাগত আমাকে উজ্জীবিত করেছে। ধানুশ আমাকে নিজের সীমাবদ্ধতার বাইরে টেনে বের করে নিয়ে এসেছিল। এমনকি আগের ‘থিরুচিত্রামবালম’ ছবির ক্ষেত্রেও তা–ই করেছিল ধানুশ। ওই সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রটির শারীরিক ভাষা, হাবভাব—সব আমার ব্যক্তিত্বের থেকে আলাদা। এ ছবির ক্ষেত্রেও সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। কেউ যখন সাঁতার কাটা শেখে আর তখন কেউ তাকে হঠাৎই জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেখতে চায় যে সাঁতার কাটা কতটা শিখেছে, ধানুশের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার এ রকমই। ধানুশ বলত, আমার প্রতি তার আস্থা আছে। ও জানে আমি পারব।’
নিখাদ বন্ধুত্ব
দুই সিনেমার সুবাদে ধানুশ ও নিত্যার নিখাদ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। নিত্যা বলেন, ‘আমরা একে অপরের কাছে খুবই সুপরিচিত। ধানুশ আমার ভালো বন্ধু। আমরা এমন ধরনের মানুষ, যারা নিজেদের একই ভূমিকায় বেঁধে রাখতে পারি না। আমরা সব সময় নিজেদের উজাড় করে দিই। আগেরটির মতো এ সিনেমার শুটিংয়েও খুব মজা হয়েছে।’