জিয়া খানের মায়ের প্রশ্ন, ‘সুরজ নির্দোষ হলে আমার মেয়ে মরল কীভাবে?’
মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্মহননের পথ বেছে নেন বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান। অভিযোগ উঠেছিল, প্রেমিক সুরজ পাঞ্চালিই তাঁকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে প্ররোচিত করেছেন। এ নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লড়ে গেছেন জিয়ার মা রাবিয়া খান। শেষ পর্যন্ত তিনি পারলেন না। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আজ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন সুরজ।
হাল ছাড়ছেন না রাবিয়া। আদালতের রায়ের পর তিনি গণমাধ্যমের সামনে প্রশ্ন রাখেন, ‘সুরজ নির্দোষ হলে আমার মেয়ে মরল কীভাবে।’ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে সুরজ বেঁচে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনো খুনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এই মামলার শুরু থেকেই রাবিয়া বলে আসছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, খুন। মেয়ের খুনিকে শাস্তি দিতে তিনি উচ্চ আদালতেও যাবেন বলে শপথ করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুতে নিজের বাসায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন এই অভিনেত্রী। পুলিশের উদ্ধার করা সুইসাইড নোট থেকে অভিযোগ উঠেছিল যে প্রেমিক সুরজ পাঞ্চালির আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছেন। এই নোটে সুরজের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জিয়া। এই মামলায় সুরজের বিরুদ্ধে আদালতে প্রায় ২২ জন সাক্ষীও দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বেঁচে যান সুরজ। শুরু থেকেই সুরজের দাবি ছিল, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
রাবিয়া সুরজের বিরুদ্ধে মুম্বাই আদালতে মামলা করেছিলেন। রাবিয়ার অভিযোগ সুরজ জিয়াকে হত্যা করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন সুরজ। সিবিআইকে পরে এই আত্মহত্যার মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে এই মামলার নিষ্পত্তি হলো। আদালত সুরজকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করলেন।