অক্ষয় কুমার, সালমান খান, শাহরুখ খান তিন দশকের বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের বহু হিট ছবির অনেক নায়িকা সময়ের স্রোতে কোথাও হারিয়ে গেছেন। গ্ল্যামার জগৎ থেকে দূরে তাঁরা স্বামী, সন্তান নিয়ে ঘোর সংসারী হয়ে উঠেছেন। এ রকমই এক হারিয়ে যাওয়া নায়িকা আবার বড় পর্দায় ফিরছেন। একসময় অক্ষয় আর তাঁর জুটি রুপালি পর্দায় ঝড় তুলেছিল।
১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের ‘সৌগন্ধ’ ছবির সেই নায়িকাকে কী মনে আছে? ছিপছিপে গড়ন, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ আর গভীর দুটি চোখ তাঁর। নাম তাঁর শান্তিপ্রিয়া। এই ছবিতে অক্ষয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বলিউড সাম্রাজ্যে পা রেখেছিলেন দক্ষিণি নায়িকা শান্তিপ্রিয়া।

‘সৌগন্ধ’ ছবিতে অক্ষয়-শান্তিপ্রিয়ার জুটি সবার নজর কেড়েছিল। এই ছবির পর তাঁকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। এরপর শান্তিপ্রিয়া সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীসহ আরও নায়কের সঙ্গে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।

২৮ বছর পর সেই দক্ষিণি তারকা আবার বড় পর্দায় ফিরছেন। আর তাঁর প্রত্যাবর্তন বেশ শক্তপোক্ত হচ্ছে। জানা গেছে, ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী সরোজিনী নাইডুর জীবনীচিত্রে শান্তিপ্রিয়া অভিনয় করতে চলেছেন। সরোজিনী নাইডুর যুবা বয়সের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী সোনাল মন্তেরোকে। আর খ্যাতনামা এই স্বাধীনতাসংগ্রামীর মধ্য বয়সের চরিত্রে শান্তিপ্রিয়া অভিনয় করবেন। এই আত্মজীবনীমূলক ছবিটি প্যান ইন্ডিয়া স্তরে মুক্তি পাবে। হিন্দি, তামিল, তেলেগু আর কন্নড় ভাষায় ছবিটি দেখা যাবে।

শান্তিপ্রিয়া এ রকম এক মহীয়সী নারীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি। তিনি মনে করেন যে তাঁর ক্যামব্যাক সত্যিই জোরদার হবে। আর শান্তিপ্রিয়া আরও খুশি যে ছবিটি চারটি ভাষায় মুক্তি পাবে। কারণ, আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে এই পরাক্রমশালী নারীর কাহিনি তিনি পৌঁছে দিতে পারবেন। জানা গেছে, এই দক্ষিণি অভিনেত্রী পর্দায় পুরোপুরি সরোজিনী নাইডু হয়ে উঠতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

শান্তিপ্রিয়া বলেছেন, ‘আমি এমন এক শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আর এই চরিত্রের সঙ্গে আমি পুরোপুরি ন্যায় করতে চাই।’ এখন তিনি ব্যস্ত তাঁর ওজন বাড়াতে। কারণ, চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁকে ওজন বাড়াতে হবে।

এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি জানি চরিত্রের গভীরে পৌঁছাতে হলে আমাকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখনকার কাজের ধারার সঙ্গে আমি পরিচিত হয়ে উঠছি। তাই আমাকে ১০-১২ কিলো ওজন বাড়াতে হবে। আর কোনো কাজ যখন চ্যালেঞ্জিং হয়, তখন আমি অন্তর থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি।’ শান্তিপ্রিয়া আরও বলেছেন, ‘আমি বড় পর্দাকে অনেক মিস করেছি। এই দুনিয়া থেকে দূরে থাকার কারণে অনেক কিছু হারিয়েছি। আমি এই ছবির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে এসব কিছু ভুলিয়ে দেব।’
বিনয় চন্দ্র পরিচালিত এই আত্মজীবনীমূলক ছবিতে হিতেন তেজওয়ানি আছেন। তাঁকে সরোজিনী নাইডুর স্বামী গোবিন্দের চরিত্রে দেখা যাবে। অভিনেত্রী জারিনা ওয়াবকে দেখা যাবে সরোজিনীর মা ভারাদা সুন্দরী দেবীর ভূমিকায়।