বাবা-দাদা সবাই মেগাস্টার, রইল রামচরণের জানা-অজানা তথ্য
দক্ষিণের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা রাম চরণ। ‘আরআরআর’- সিনেমার ‘নাটু নাটু’- গান দিয়ে বিশ্বজুড়ে তারকাখ্যাতি আর পরিচিতি তাঁর। আজ নায়কের জন্মদিন। ১৯৮৫ সালের এই দিনে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই অভিনেতা। অভিনয়জীবনের পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক রাম চরণের ব্যক্তিজীবনের একঝলক।
রাম চরণের বাবা-দাদু সবাই মেগাস্টার
রাম চরণ দক্ষিণের জনপ্রিয় সুপারস্টার। তিনি নিজে যেমন অভিনেতা, তেমনি তাঁর বাবাও দক্ষিণের মেগাস্টার চিরঞ্জীবী। সে কারণে রাম চরণের স্টারডমের কমতি ছিল না কখনোই। শুধু তা–ই নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অভিনেতার দাদু আল্লু রাম লিঙ্গাইয়া। পেশায় চিকিৎসক হলেও ছিলেন কৌতুক অভিনেতা। অভিনয় করেছেন হাজারের বেশি ছবিতে।
সন্তানে অনীহা
এক দশকের বেশি সময় আগে ছোটবেলার বন্ধু উপাসনাকে বিয়ে করেন রাম চরণ। কিন্তু এক দশক ধরেই সন্তানধারণে আগ্রহী ছিলেন না এই দম্পতি। যুক্তি ছিল, সন্তান নিতে চাইছেন না, কারণ পৃথিবীর জনংসখ্যা কমিয়ে ফেলতে চান। যদিও এক দশক পর হঠাৎ নিজেদের যুক্তি থেকে সরে গিয়ে ঘরে নতুন অতিথি আগমনের সুখবর দিয়েছিলেন রাম চরণ-উপাসনা দম্পতি। তাঁদের আছে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তান।
নায়িকাদের ঘনিষ্ঠ হলে কেঁদে ফেলেন স্ত্রী
পর্দায় বহু নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় নায়কদের। বেশির ভাগ নায়কের স্ত্রী বিষয়টিকে পেশাদারত্বের অংশ হিসেবে দেখলেও অনেকে এটিকে ইতিবাচকভাবে নিতে পারেন না। এমনই একজন হচ্ছেন রাম চরণের স্ত্রী উপাসনা। এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে উপাসনা জানিয়েছিলেন, রাম চরণকে নিয়ে তিনি এতটাই ‘পসেসিভ’ যে অন্য নায়িকার সঙ্গে স্বামীকে দেখলে তাঁর ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। পর্দায় রাম চরণকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখলেও অস্বস্তিতে ভোগেন তিনি। উপাসনার ভাষ্য, ‘বসে দেখতে পারি না, তাই উঠে চলে যাই, কান্না চলে আসে।’
তবে রাম চরণ স্ত্রীকে বুঝিয়েছেন, এটা তাঁর পেশা। অভিনয় ছাড়া কিছুই নয়। যদিও বিয়ের বহু বছর পর অনেকটাই পরিণত উপাসনা। রাম চরণের স্ত্রীর উপলব্ধি, ‘আমাকে কিছুই মেনে কিংবা মানিয়ে নিতে হয়নি। আমাদের মধ্যে সেই বিশ্বাস আছে। আমি বিশ্বাস করি, পর্দায় রাম চরণ যা–ই করুক, ওকে আমার সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি মানায়। আর কারও সঙ্গে নয়।’
‘আরআরআর’-এ বাজিমাত
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রাম চরণ নিজের জাত চিনিয়েছেন ‘আরআরআর’-সিনেমার মাধ্যমে। যে সিনেমার ‘নাটু নাটু’- গানটি ছিনিয়ে এনেছে অস্কারের সম্মাননা। এর পর থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে রাম চরণের তারকাখ্যাতি। ‘আরআরআর’ ছবি পরিচালনা করেছেন রাজামৌলি। ২০০৭ সালে পুরী জগন্নাথ পরিচালিত তেলেগু সিনেমা ‘চিরুথা’র মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জনপ্রিয় এই অভিনেতার।