অক্ষয়ের মধ্যে দেশপ্রেম নেই—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই ঘুরে বেড়ায় এমন মন্তব্য। বিশেষ করে ভারতের নির্বাচনের আগে। ভারত ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় ভারতের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না অক্ষয় কুমার, তাই নির্বাচনের আগে প্রতিবারই বিষয়টি নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক হয়। বিষয়টি নিয়ে অনেকবারই কথা বলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, কানাডার নাগরিকত্বের বিষয়টি তিনি কখনোই লুকাননি। এটা নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরির কোনো মানেই হয় না। তবে বিতর্কের কারণেই কিনা কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অক্ষয়।
আজ মুক্তি পেয়েছে অক্ষয়ের নতুন সিনেমা ‘সেলফি’। ছবির প্রচারে দিন কয়েক আগে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানাডার পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন করার কথা নিজেই জানান তিনি।
অক্ষয় কুমার বলেন, ‘ভারতই আমার সবকিছু। আমার যা কিছু অর্জন সবই এ দেশ থেকে পাওয়া। দেশকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে মানুষ যখন তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সেটা তাঁকে আহত করে।
অক্ষয় জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে টানা ১৫টি ছবি ফ্লপ করার পর তিনি পেশা বদল করার কথা ভেবেছিলেন। তখন কাজের সূত্রেই এক বন্ধুর মধ্যে কানাডীয় নাগরিকত্ব পান। এরপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও কানাডীয় নাগরিকত্ব আর বাতিল করা হয়নি।
‘সেলফি’ ছাড়াও চলতি বছর তাঁর ‘বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া’ ও ‘ও মাই গড টু’ ছবি দুটি মুক্তি পাওয়ার কথা। সম্প্রতি জানা গেছে ‘হের ফিরি’র তৃতীয় কিস্তিতেও অভিনয় করবেন তিনি।