‘অগ্নি’কন্যা হয়ে আসছেন সায়ামি

সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

অভিনয়ের জন্য সব সময় বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র পছন্দ করেন সায়ামি খের। আর পর্দায় সেই চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে যারপরনাই পরিশ্রমও করেন। রাহুল ঢোলাকিয়ার ‘অগ্নি’ সিনেমায় এবার নারী ফায়ার সার্ভিস কর্মী হয়ে আসছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে মুক্তি পেল ওয়েব ছবিটির ট্রেলার।

‘অগ্নি’র পোস্টারে সায়ামি। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জীবন আর তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগের কাহিনি নিয়ে বোনা হয়েছে ছবির গল্প। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুনে ঝাঁপ দিতে পিছপা হন না। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ে বলিউডে এই প্রথম কোনো ছবি নির্মাণ করা হলো। ছবিতে আরও আছেন প্রতীক গান্ধী, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, সাই তামহংকার।

ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে ছবির প্রযোজক ফারহান আখতার ও রিতেশ সিধওয়ানি; পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া ছাড়াও ছিলেন ‘অগ্নি’র চার অভিনয়শিল্পী। ছবিতে প্রতীক ও সায়ামিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ভূমিকায় দেখা যাবে। প্রতীক বলেন, ‘“অগ্নি” শুধু একটা ছবি নয়, আমাদের সমাজের অকথিত নায়ক অগ্নিযোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।’

সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

অভিনেতা দিব্যেন্দু বলেন, ‘এ ছবিতে পুলিশ সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রের হাত ধরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জীবনের গভীরে প্রবেশ করা হবে। এ চরিত্রের মাধ্যমে আমি শিল্পী হিসেবে নিজেকে নতুনভাবে অন্বেষণ করার সুযোগ পেয়েছি।’

ছবিটি প্রসঙ্গে ফারহান বলেন, ‘এটা শুধু অ্যাকশন ছবি নয়, এই ছবির হৃৎস্পন্দন হলো ড্রামা। এই ছবিতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নির্ভীকতা, আত্মত্যাগ, কর্তব্যপরায়ণতার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।’

সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘অগ্নি’র ট্রেলার মুক্তির আয়োজনে সায়ামি খের বলেন, ‘এই ছবির টিজার আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। বাস্তবে নাকি নারী ফায়ার সার্ভিস কর্মী হয় না। অনেকে জানেনই না, ফায়ার সার্ভিস বিভাগে অনেক নারী ফায়ার ফাইটার আছেন। আমিও জানতাম না।’

পর্দায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী হয়ে উঠতে লম্বা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, জানালেন সায়ামি। মুম্বাই ফায়ার স্টেশনে তাঁকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল।

সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

চরিত্রের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ছবির মাধ্যমে আমি নতুন কিছু কলা শিখেছি। “মির্জা” ছবির জন্য শিখেছি ঘোড়ায় চড়া, “ঘুমর”-এর জন্য ক্রিকেট আর এই সিনেমার জন্য অগ্নিনির্বাপণ। বাস্তবের ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, আগে এ বিষয়ে আমার সামান্যই জ্ঞান ছিল।’

মারোল ও ওয়াডালা ফায়ার স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সায়ামি। টানা আট সপ্তাহ চলেছিল প্রশিক্ষণ পর্ব। অভিনেত্রী বলেন, ‘সব ধরনের সরঞ্জাম কীভাবে সামলাতে হয়, শিখেছি। মই বেয়ে ওঠা থেকে শুরু করে আর যা যা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা করেন, সবকিছু শিখেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমাকে চরিত্রটি প্রভাবিত করেছিল। আমি নিজের চোখে দেখেছি ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর পুরুষ ও নারী কর্মীদের প্রতিদিনের আত্মত্যাগ।’

আরও পড়ুন

‘অগ্নি’ ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যামাজন প্রাইমে দেখা যাবে।