‘ধুরন্ধর’–এ অক্ষয়কে সাতবার চড়, কী বললেন সেই নায়িকা

সৌম্য ট্যান্ডন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘ধুরন্ধর’ ছবিতে অক্ষয় খান্নার অভিনয় আলোচনায়। তবে সিনেমাটিতে অভিনেত্রী সৌম্য ট্যান্ডনের একটি দৃশ্য নিয়ে অন্তর্জালে আলোচনা হচ্ছে। দৃশ্যটিতে অক্ষয়কে সাতবার চড় মেরেছিলেন তিনি! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলোচিত সেই দৃশ্য নিয়ে কথা বলেছেন সৌম্য।  

পরিচালক আদিত্য ধর যখন তাঁর নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’-এ রণবীর সিং, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রামপাল, আর মাধবন থাকলেও ‘রেহমান ডাকাত’ চরিত্রে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন অক্ষয় খান্না। ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘ভাবিজি ঘর পার হ্যায়’-এর অভিনেত্রী সৌম্য ট্যান্ডন; এখানে তিনি রেহমান ডাকাতের স্ত্রী। অল্প পর্দা উপস্থিতি সত্ত্বেও অক্ষয়ের সঙ্গে তাঁর রসায়ন ছাপ ফেলেছে দর্শকের মনে।

রসায়নের জন্য কি রিহার্সাল করেছিলেন সৌম্য ও অক্ষয়?
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘মিডডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌম্য জানান, রিহার্সাল তো দূরের কথা, ক্যামেরার বাইরে পরস্পরের সঙ্গে আলাপ করারও তেমন সুযোগ পাননি তাঁরা।

‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় অক্ষয় খান্না। এক্স থেকে

সৌম্য বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু তৈরি করার সময়ই আমরা পাইনি। কিন্তু রসায়নটা আপনাআপনিই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শুধু চোখের ভাষাতেই একটা নীরব বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল। অক্ষয় এতটাই উপস্থিত একজন অভিনেতা যে তাঁর সঙ্গে কাজ করলে আপনিও স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, অভিজ্ঞ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অভিনয় জোর করে করতে হয় না।

চড়ের দৃশ্যে আসলে কী হয়েছিল?
‘ধুরন্ধর’-এর সবচেয়ে শক্তিশালী দৃশ্যগুলোর একটি হলো সেই মুহূর্ত, যখন ছেলের মৃত্যুর খবর জানার পর উলফত রেহমানকে চড় মারেন। সৌম্য স্বীকার করেন, প্রথমে তিনি দৃশ্যটি ভান করে করতে চেয়েছিলেন।

সৌম্য ট্যান্ডন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘আমি চেষ্টা করছিলাম নকলভাবে করতে।’ বলেন তিনি। কিন্তু পরিচালক আদিত্য ধর বিষয়টি অন্যভাবে চেয়েছিলেন। ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন, “সত্যি সত্যি চড় মারো। না হলে ঠিক আবেগ আসবে না।” আমি অক্ষয়কে জিজ্ঞেস করতেই তিনি স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নেন,’ বলেন সৌম্য। পরে সৌম্য সত্যিই চড় মারেন। পরে অবশ্য তাঁর খুব খারাপ লেগেছিল।

ছবিতে ডোঙ্গা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা নবীন কৌশিক। তিনি পরে জানান, দৃশ্যটি একাধিকবার শুট করা হয়েছিল। আবেগ ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে অক্ষয় বারবার চড় খেতে রাজি হন। কিন্তু দৃশ্যটির সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটি আসে এরপর—রেহমান সব যন্ত্রণা চুপচাপ সহ্য করে স্ত্রীকে আলিঙ্গন করেন।

আরও পড়ুন

কেন এত গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল এই দৃশ্য?
এই দৃশ্য দর্শকের মনে ছাপ ফেলেছে, কারণ এখানে রেহমান ডাকাতকে ভয়ংকর কোনো অপরাধী হিসেবে নয়, বরং ঘরের ভেতরে এক ভেঙে পড়া মানুষ হিসেবে দেখা যায়।

সৌম্য ট্যান্ডন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সৌম্যের উলফত চরিত্রটি শান্ত স্বভাবের হলেও হয়ে ওঠে তাঁর মনের ভেতর তোলপাড় চলছি। সংলাপের বদলে নীরবতাকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত দৃশ্যটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

সামনে কী?
সৌম্য ট্যান্ডন টেলিভিশনের পাশাপাশি বেছে বেছে চলচ্চিত্রে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে অক্ষয় খান্না বলিউডের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিনেতাদের একজন হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

আগামী ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ আসবে ‘ধুরন্ধর ২’; ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে।

ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে