যাঁকে সিনেমার বাইরেও ‘ভিলেন’ বলে মনে করতেন সবাই

প্রেম চোপড়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে

নায়ক নয়, খলনায়ক হিসেবেই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এক সময় পর্দায় তাঁর মুখ দেখলেই দর্শকের গা শিউরে উঠত। বলিউডের সেই কিংবদন্তি খলনায়ক প্রেম চোপড়া আজ ৯০–এ পা দিলেন।  
প্রেম চোপড়া ৪০০-রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর সংলাপ ও চরিত্র আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মের দর্শকের মুখে মুখে ফেরে।

শুরুর সংগ্রাম
১৯৬১ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রেম চোপড়া। ছোটবেলায় চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তাঁর বাবা। কিন্তু স্নাতক হওয়ার পর তিনি মুম্বাই পাড়ি জমান অভিনেতা হওয়ার উদ্দেশ্যে। শুরুতে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই চলচ্চিত্রে আসেন, কিছু পাঞ্জাবি ছবিতেও নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে হিন্দি ছবিতে নায়ক হিসেবে সেভাবে সাফল্য পাননি। ধীরে ধীরে খলনায়ক চরিত্রে প্রস্তাব আসতে শুরু করে, আর তাতেই ঘটে মোড় ঘোরা।

প্রেম চোপড়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে

খলনায়ক হিসেবে উত্থান
প্রেম চোপড়া সেই সব খলনায়কদের একজন, যাঁকে দর্শক সিনেমার বাইরে গিয়েও ‘ভিলেন’ বলে মনে করতেন। একঝলক তাঁর চেহারা, হাঁটাচলা দেখলেই দর্শক আঁচ করতে পারতেন—এ ছবির খলনায়ক তিনিই।

প্রেম চোপড়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে

অথচ তাঁর ইচ্ছা ছিল নায়ক হওয়ার। ‘ববি’, ‘দো অঞ্জানে’, ‘ত্রিশূল’, ‘রাজার বাবু’, ‘সৌতান’, ‘দোস্তানা’র মতো ছবিতে তিনি নায়কদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন।

পরিবার
ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় প্রেম চোপড়া। পড়াশোনা করেছেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাট্যচর্চা থেকে সিনেমায় যাত্রা শুরু। স্ত্রী উমাকে নিয়ে সংসার তাঁর। দম্পতির তিন কন্যা—রাকিতা, পুনিতা ও প্রেরণা। বড় মেয়ে রাকিতা চিত্রনাট্যকার রাহুল নন্দাকে বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় মেয়ে পুনিতা গায়ক ও টেলিভিশন অভিনেতা বিকাশ ভল্লার স্ত্রী। ছোট মেয়ে প্রেরণার স্বামী বলিউড অভিনেতা শারমান যোশি, যিনি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো ৩৫০ কোটির ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করেছেন।

আরও পড়ুন

আইকনিক সংলাপ
১৯৭৩ সালের ‘ববি’ ছবিতে প্রেম চোপড়ার সংলাপ ছিল—‘প্রেম…প্রেম নাম হ্যায় মেরা…প্রেম চোপড়া’। এই এক সংলাপেই তিনি অমর হয়ে যান। এর পর থেকে তাঁকে দেখলেই দর্শকের মনে পড়ে যেত সেই সংলাপ।
প্রথম অভিনয় করেছিলেন ১৯৬০ সালের ছবি ‘মুড় মুড় কে না দেখ’-এ। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় খলনায়ক চরিত্রেই অভিনয় করে গেছেন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস