বাড়ি ফিরেছেন কাজলের মা

তনুজা ও কাজলফেসবুক পেজ থেকে

গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কাজলের মা তথা বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা। জানা গেছে, এখন তিনি অনেকটা সুস্থ।
গত রোববার বিকেলে মুম্বাইয়ের জুহুর ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তনুজাকে। বয়সজনিত কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, তাঁর শ্বাসজনিত সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গতকাল সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। তনুজার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল দেখে চিকিৎসকেরা গতকাল রাতে তাঁকে ‘ডিসচার্জ’ করার সিদ্ধান্ত নেন। ৮০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার খবরে তাঁর অনুরাগীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

চিত্র নির্মাতা কুমারসেন সমর্থ আর অভিনেত্রী শোভনা সমর্থের মেয়ে হলেন তনুজা। চিত্র নির্মাতা সোমু মুখার্জিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁদের দুই কন্যাসন্তান হলেন কাজল ও তানিশা মুখার্জি।

‘পিত্রুরুন’ ছবিতে তনুজা
আইএমডিবি

১৯৬০-৭০–এর দশকে বলিউডে রীতিমতো দাপট ছিল তনুজার। ১৯৫০ সালে ‘হামারি বেটি’ ছবির মাধ্যমে এই অভিনেত্রী তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এ ছবিতে তাঁকে তাঁর বোন নূতনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তনুজা এই ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন।

১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে তাঁর ‘হামারি ইয়াদ আয়েগি’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয়েছিল। তনুজা অপার সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁর অভিনয়ের জোরে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

‘রাজকুমারী’ ছবিতে উত্তমকুমার ও তনুজা
ইউটিউব থেকে

এ অভিনেত্রীকে ‘জুয়েল থিফ’, ‘বাহারে ফির ভি আয়েগি’, ‘প্যায়সা ইয়া পেয়ার’, ‘হাতি মেরে সাথি’সহ আরও হিট ছবিতে দেখা গেছে। বেশ কিছু বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দেয়া নেয়া’, ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি সবাই দারুণ পছন্দ করেছিলেন। তনুজা দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন।