পর্দায় ‘সাক্ষী গুলাটি’ হয়ে ওঠার প্রসঙ্গে ঋতিকা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শরীরের চেয়ে বেশি মানসিক চাপ ছিল। ছবির গল্প খুবই সাদামাটা। তারপরও গল্পটা সবাইকে শিহরিত করবে। মেয়েটির মানসিক অবস্থা আরও বেশি করে পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন পরিচালক। শুটিংয়ের সময় মনে হতো না যে অভিনয় করছি। মনে হতো সব সত্যি। অনেক সময় পরিচালক “কাট” বলার পরও ঘোরের মধ্যে থাকতাম। আর অঝোরে কাঁদতে থাকতাম। এমনকি অনেক সময় পরিচালক আর সেটে উপস্থিত নারীও আমার সঙ্গে কাঁদতেন। আসলে সেটের পরিবেশটা এত বেশি বাস্তবিক ছিল যে সবকিছু সত্যি বলে মনে হতো।’
ঋতিকা জানান, ছবিতে তাঁর সংলাপ কম। মূলত অভিব্যক্তি দিয়েই বেশি প্রকাশ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চরিত্রের একেবারে গভীরে ঢুকতে চেয়েছিলাম। দুই ঘণ্টার ঘটনা নিয়ে ছবিটি নির্মিত, অথচ এ ছবির জন্য টানা ১৬ দিন চুলে তেল, জল—কিছুই দিইনি। চুল আঁচড়াইনি। চুলে জট পড়ে গিয়েছিল। আসলে পর্দায় নিজেকে আলুথালু আর অপরিচ্ছন্ন দেখানোর প্রয়োজন ছিল।’
মিক্সড মার্শাল আর্ট আর কিক বক্সিংয়ে পারদর্শী ঋতিকা। অভিনেত্রী হিসেবেও এখন বেশ সুনাম হয়েছে। আর কী কী গুণ আছে? তিনি বলেন, ‘এখনো নিজের সুপ্ত প্রতিভার অন্বেষণে আছি। নাচে, গানে নিজেকে আবিষ্কার করতে চাই।’