‘এখনো নিম্নমধ্যবিত্ত জীবন যাপন করি’

পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ইনস্টাগ্রাম থেকে
এখনো নিজেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত বলে মনে করেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। শুধু তা–ই নয়, গ্ল্যামার–দুনিয়ায় বসবাস করেও বিলাসবহুল জীবনের থেকে দূরে সাদামাটাভাবে জীবন কাটান এই বলিউড অভিনেতা। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে পঙ্কজ ত্রিপাঠির মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি

অভিনেতা হিসেবে নিজেকে সব সময় ভাঙচুর করতে ভালোবাসেন পঙ্কজ। কী দেখেন চিত্রনাট্যে? জানতে চাইলে একটু হেসে তিনি বলেন, ‘আমি লেখককে পুরো গল্পটাকে চার পাতায় লেখার কথা বলি। এই চার পাতা পড়েই আমি বুঝতে পেরে যাই, ছবির গল্পটা আসলে কী, কী বলতে চাইছেন পরিচালক। ছবিজুড়ে আমি কতটা সময় আছি, তা দেখি না। দেখি, ছবির মধ্যে কতটা বিনোদন আছে।’ পঙ্কজ আরও বলেন, ‘আগে আমি শুধু নিজে বেঁচে থাকার জন্য অনেক কাজ করতাম। আমার ওপর অনেক দায়িত্ব ছিল। তাই তখন নিজের পছন্দের সঙ্গে সমঝোতা করতে হতো। কিন্তু এখন আমার সামনে আর বেঁচে থাকার লড়াই নেই। আমি আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই এখন আর সমঝোতা করি না।’

নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক তিনি নিজে বলে জানান এই অভিনেতা। পঙ্কজের কথায়, ‘আমি আমার সব ছবি মন দিয়ে দেখি আর কিছু না কিছু ভুল খুঁজে বের করি। শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পর সব সময় মনে হয়, আজকের দৃশ্যটা কাল করলে আরও ভালো হতো।’

আরও পড়ুন

আগামী দিনে পঙ্কজকে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর আত্মজীবনীমূলক ছবিতে দেখা যাবে। এ ছবি তাঁকে নানান দিক দিয়ে ঋদ্ধ করেছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা বলেন, ‘অটলজির বায়োপিক ছবি আর “ওএমজি টু” ছবি দুটি আমার জীবনদর্শনকে অনেকটা বদলে দিয়েছে। এখন প্রতিদিন আরও উন্নত মনের মানুষ হয়ে ওঠার প্রয়াস করি। এই ছবি দুটি করার পর মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বুঝেছি, স্বাধীনতা মানে অনুশাসন।’ পর্দায় অটল হয়ে ওঠার জন্য নানা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে পঙ্কজকে।

পঙ্কজ ত্রিপাঠি
ইনস্টাগ্রাম থেকে

তাঁর কথায়, ‘আমি অটলজির ওপর প্রচুর বই পড়েছি। এখন এমন অবস্থা যে আমি তাঁর ওপর বই লিখতে পারি। তাঁর সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। তাঁর বক্তৃতা একবার শুনেছিলাম, তখন আমি অভিনেতা নই। কখনো কল্পনা করতেও পারিনি যে অটলজির ভূমিকায় একদিন অভিনয় করব।’

অভিনেতা থেকে এখন তারকা হয়ে উঠেছেন পঙ্কজ। কিন্তু নিজেকে কিছুতেই তারকা বলতে নারাজ এই অভিনেতা। একটু হাসলেন। কী যেন ভাবলেন একমুহূর্ত। বলেন, ‘আমি এখনো সেই বিহারের গ্রামের ছেলে। এখনো আমি নিম্নমধ্যবিত্ত জীবন যাপন করি। আমার মা–বাবা আজও জানেন না যে আমি অভিনেতা। আমার কোনো সিনেমা তাঁরা দেখেননি।’