জেনেলিয়ার কাছে মাতৃত্ব আগে

দীর্ঘদিন পর আবার হিন্দি সিনেমার জগতে ফিরলেন জেনেলিয়া দেশমুখ। জিও সিনেমার পর্দায় তাঁকে ‘ট্রায়াল পিরিয়ড’ ছবিতে দেখা গেছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে জেনেলিয়া দেশমুখের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি
জেনেলিয়া দেশমুখ। ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘ট্রায়াল পিরিয়ড’ ছবিটি দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হলো জেনেলিয়া দেশমুখের। আলেয়া সেন পরিচালিত এ ছবিতে এক বাঙালি মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে জেনেলিয়াকে। বাস্তব জীবনে দুই সন্তানের মা, তা কি পর্দায় মা হয়ে উঠতে কোথাও সাহায্য করেছে? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই, বাস্তব জীবনে মা হওয়ার কারণে পর্দায় মা হয়ে ওঠাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। শুটিংয়ের সময় মনে হতো না অভিনয় করছি। মনে হতো, আমি বাস্তব জীবনেই আছি।’

আরও পড়ুন

‘ট্রায়াল পিরিয়ড’ ছবিতে জেনেলিয়ার ছেলের ভূমিকায় দেখা গেছে জিদানকে। সশব্দ হেসে এ প্রসঙ্গে তিনি জানান একটি মজার তথ্য, ‘পর্দায় জিদানকে ছেলের চরিত্রে দেখে আমার দুই ছেলে খুব অবাক হয়েছিল। ওদের অভিযোগ, তারা থাকতে জিদান কেন আমার ছেলে হয়েছে।’

সন্তানদের দেখভালের কারণে এত দিন রুপালি পর্দা থেকে দূরে ছিলেন জেনেলিয়া। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের আমার প্রয়োজন ছিল। আমার কাছে মায়ের ভূমিকা সবার আগে। এখন তারা একটু বড় হয়েছে। নিজেদের জগৎ নিয়ে তারা ব্যস্ত। তাই অনেক ভেবেচিন্তে আবার অভিনয়ে ফিরলাম।’

জেনেলিয়া দেশমুখ। ইনস্টাগ্রাম থেকে

জেনেলিয়া বলেন, ‘আমি ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে বিয়ে করেছিলাম। তখন অনেকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল, বিয়ে মানেই ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু বিয়ের ১০ বছর পরও আমি মনের মতো কাজ করতে পারছি। সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছি।’

জেনেলিয়া জানান সময়ের সঙ্গে তাঁর মধ্যে বদলের কথাও, ‘শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও আমার মধ্যে বদল এসেছে। আগে আমি অনেক ছটফটে ও স্পষ্টভাষী ছিলাম। এখন অনেক ধীরস্থির। আমার কাছে এখন সবার আগে পরিবার গুরুত্ব পায়। এখন আমি স্বপ্নের চরিত্রের চেয়ে বাস্তব চরিত্রে কাজ করতে বেশি আগ্রহী।’

জেনেলিয়া ও রিতেশ বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতিদের মধ্যে একটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তৈরি রিলও জনপ্রিয়। সফল দাম্পত্যজীবনের মূল উপাদান কী?

‘ট্রায়াল পিরিয়ড’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

তিনি হেসে বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি একে অপরের থেকে নতুন কিছু খুঁজে বের করার। জীবনের নানা পর্যায়ে একে অপরের নতুন কিছু অন্বেষণ করি। আমাদের রিল সবাই খুব পছন্দ করেন। এর কৃতিত্ব আমি সম্পূর্ণ রিতেশকে দিতে চাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি যাতে আরও বেশি কানেক্ট করতে পারি, তাই প্রসাধনী ছাড়া সাদামাটাভাবে রিলগুলো বানাই।’