তাঁর দুনিয়াটা বদলেছে

আনুশকা কৌশিক

উত্তর প্রদেশের ছোট শহর সহরানপুরের মেয়ে আনুশকা কৌশিক। তবে আজ মুম্বাইয়ের বুকে একটু একটু করে তিনি তাঁর জমি পাকাপোক্ত করছেন। বড় পর্দায় সে অর্থে পরিচিত নন এই নায়িকা। তবে ওটিটির দুনিয়ায় দিব্যি রাজত্ব করছেন আনুশকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর অনুসারীসংখ্যা অবাক করার মতো। সম্প্রতি আনুশকা জানিয়েছেন, ছোট শহর থেকে কীভাবে এসে মায়ানগরীর গ্ল্যামারজগতে নিজের নাম লিখিয়েছেন।

আনুশকা কৌশিক

ছোট শহর থেকে উঠে আসা প্রসঙ্গে আনুশকা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ চাইলে কি না করতে পারে। অজগ্রাম থেকেও মানুষ সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পারে। ছোটবেলা থেকেই আমি অভিনয়শিল্পী হতে চেয়েছিলাম। স্কুলে অভিনয় করতাম। ছোটবেলায় ধ্রুপদি নাচ শিখেছিলাম। নাচ আমাকে অভিনেতা হতে সাহায্য করবে, এই ভেবে আরও নাচ শিখেছিলাম।’

আনুশকা কৌশিক

মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অভিনয়জগতে এসেছিলেন এই বিটাউন নায়িকা। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমার অভিনয়জগতে আসা নিয়ে মা খুবই ভয় পেতেন। আসলে পরিবারকে রাজি করানো খুবই কঠিন কাজ ছিল। মা আর আমি এক বাড়িতে থেকেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলতাম না। আর তার কারণ অভিনয়। আমার পোশাক থেকে শুরু করে নানান বিষয় মায়ের খারাপ লাগত। এখনো তিনি রেগে যান। আমি বুঝতে পারি যে আমার জন্য দুনিয়াটা পুরোপুরি বদলে গেছে। কিন্তু মায়ের জন্য দুনিয়াটা সেই একই আছে।’

আনুশকা জানান, তিনি যে ধরনের পোশাক পরেন, শুরুতে তা সহরানপুরের মানুষও পছন্দ করতেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু আমার পোশাক নয়, রোমান্টিক দৃশ্যে আমার অভিনয় করা নিয়েও তাদের আপত্তি ছিল। তারা বলত, শর্মাজির মেয়ে কী করে এ রকম দৃশ্যে অভিনয় করতে পারে। সবার চিন্তাভাবনায় বদল আসতে সময় লেগেছে। সত্যি বলতে আগে মানুষের বাজে মন্তব্যে খারাপ লাগত, কাঁদতাম। কিন্তু এখন তা আর হয় না। এ সবকিছু থেকে আমি বের হয়ে এসেছি।’

ক্র্যাশ কোর্স ও ঘর ওয়াপসি–খ্যাত অভিনেত্রী আনুশকাকে আগামী দিনে বেশ কিছু ভালো প্রকল্পে দেখা যাবে। তিনি আগামী প্রকল্প সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি তিমাংগশু ধুলিয়া স্যারের গর্মীর শুটিং শেষ করলাম। এর কাহিনি ছাত্ররাজনীতিকে ঘিরে। আরবাজ খানের পাটনা শুক্লা ছবিতেও আছি। শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে এই ছবি। এ ছাড়া আরও একটি ওয়েব সিরিজ ঝুলিতে আছে।’