জীবনটা বদলে দিয়েছে ভিকি
দূরদেশের কন্যা তিনি। শুরুতে হিন্দি ভাষাটাও ভালো করে জানতেন না বলিউড নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। কাজ করে করে মোটামুটি রপ্ত করে ফেলেছেন ভাষাটা। গত বছরের ডিসেম্বরে বলিউডের নায়ক ভিকি কৌশলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। এখন পাঞ্জাবের সংস্কৃতি, রীতিনীতির সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন ক্যাট। বিয়ের পর ক্যাটরিনার সঙ্গে প্রথম আলাপচারিতা। মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে বসেছিল এই আড্ডা। কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে সান্ধ্য এই আড্ডায় শামিল ছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিও। শুরুতেই উঠে আসে বিয়ের পর ক্যাটের প্রথম ‘করওয়া চৌথ’-এর কথা। একগাল হেসে বলেন, ‘আর বলবেন না। কী প্রচণ্ড খিদে পেয়েছিল সেদিন। জানেন, ভিকিও আমার সঙ্গে না খেয়ে ছিল।’ ক্যাটরিনা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রত্যেকের উচিত পারিবারিক রীতি, রেওয়াজকে সম্মান করা। বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলোতে পরিবারের জন্য সময় বের করা, সবাই মিলে একসঙ্গে উদ্যাপন করা।’
ক্যাট ও ভিকির বিয়ের এক বছরও পার হয়নি। ভিকির সঙ্গে যে সুখেই ঘরকন্না করছেন, ক্যাটের চোখেমুখে তা স্পষ্ট।
ভিকির প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, ‘ভিকি আমার জীবনটা অনেকটাই বদলে দিয়েছে। জীবনের কঠিন সময়ে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, তার কাছ থেকে শিখছি। অল্পতেই আমি টেনশন করতে থাকি। আর ভিকি শান্ত, ধীরস্থির থাকে। সব সময় হাসিখুশি, বিন্দাস থাকে। ভিকি আমার জীবনে একরাশ শান্তি আর আনন্দ বয়ে এনেছে।’ ক্যাট আরও কথা বলেন তাঁদের মধ্যকার মিল-অমিল নিয়ে, ‘আমরা একে অপরের থেকে একদম আলাদা। তাই বোধ হয় আমরা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। কথায় বলে না, বিপরীতের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে।’
অভিনেতা ভিকিকে অত্যন্ত সমীহ করেন আর ভয় পান বলে জানালেন ক্যাটরিনা, ‘ভিকি অসম্ভব ভালো অভিনেতা। পর্দায় সে অত্যন্ত সাবলীল আর স্বতঃস্ফূর্ত। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভিকি নিমেষের মধ্যে তিন পাতার চিত্রনাট্য মুখস্থ করে ফেলতে পারে। সেখানে আমার অনেকটা সময় লাগে। তাই ভিকিকে জানিয়েছি যে তার সঙ্গে আমি মোটেও পর্দায় আসতে চাই না। সত্যি বলতে, অভিনেতা ভিকিকে আমি বেশ ভয় পাই।’
বিয়ের পর একসঙ্গে খুব বেশি সময় থাকতে পারেননি। এ নিয়ে আক্ষেপের সুরে ক্যাটরিনা বলেন, ‘বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আমাদের কাজে ফিরে যেতে হয়েছিল। বিয়ের পর নতুন সংসার। একসঙ্গে চারদেয়ালের মধ্যে থাকা। সব মিলিয়ে এক সুন্দর অনুভূতি ছিল। কিছুতেই মন চাইছিল না আবার কাজে ফিরতে। ভিকির সঙ্গে একান্তে বেশ কিছুদিন কাটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপায় ছিল না।’
৪ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত কমেডি ও ভৌতিক ছবি ‘ফোন ভূত’। জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মির্জাপুরখ্যাত পরিচালক গুরমিত সিং ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ক্যাটের সঙ্গে এ ছবিতে আছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও ঈশান খট্টর।
ছবির প্রসঙ্গে ক্যাটরিনা বলেন, ‘আমার মনে হয়, ছবিটি দর্শক ভরপুর উপভোগ করবেন। ছোট-বড় সবার জন্য ছবিটি। সিদ্ধান্ত আর ঈশান দুজনই অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতা। পর্দায় তাঁরা বেশ সাবলীল। গুরমিত পরিচালক হিসেবে দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে এই ছবির অভিজ্ঞতা দারুণ। ফোন ভূত ছবির ট্রেলার আমি প্রথম ভিকিকে দেখিয়েছিলাম। ভিকির ছবির ট্রেলার ভালো লেগেছে। তাই ছবিটি নিয়ে আমরা সবাই আশাবাদী।’