‘আমি শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম’
বলিউড অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। সেই সময়ে তিনি ভেবেছিলেন, এই বুঝি শেষ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এই অভিনেতা।
নিউইয়র্কে এক বন্ধুর বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে ফিরছিলেন শুত্রুঘ্ন। তখন গভীর রাত; নির্জন এক রাস্তায় তিনি একাই ছিলেন। গাড়ি ভুল জায়গায় নামিয়ে দেওয়ায় তিনি বুঝতে পারেননি কোন দিকে তাঁর হোটেল। হাতে শপিং ব্যাগ থাকায় তিনি আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং মনে করেন, এটাই হয়তো তাঁর শেষ রাত। সুনসান রাস্তায় ছিনতাইয়ের ভয় পেয়ে বসেছিল তাঁকে। ‘আমি ভেবেছিলাম আজ সব শেষ, শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’
এসব যখন ভাবছিলেন ঠিক সেই সময় একটি গাড়ি এসে থামে। ভয় আরও বেড়ে যায়। কিন্তু তাঁকে অবাক করে গাড়ির ভেতর থেকে কেউ তাঁকে চিনে ফেলে। এরপর তাঁর অভিনীত ১৯৮৩ সালের জনপ্রিয় পাঞ্জাবি ছবি ‘পুত জত্তন দে’র নাম ধরে ডাকে। এরপর জানা যায়, তারা সবাই পাঞ্জাবি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ; ছবিটির ভক্ত। তারা দ্রুত আরও গাড়ি ডেকে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং নিরাপদে শত্রুঘ্ন সিনহাকে তাঁর হোটেলে পৌঁছে দেয়।
শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিনি টাকা দিতে চাইলেও তারা তা নিতে অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আপনি আমাদের নায়ক।’ এই ঘটনাকে তিনি জীবনের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেন।
একই সাক্ষাৎকারে তিনি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন। ধর্মেন্দ্রর অনুরোধেই তিনি ‘পুত জত্তন দে’ ছবিতে কাজ করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবন বাঁচিয়ে দেয়। কারণ, নিউইয়র্কের ওই এলাকা ছিনতাইয়ের জন্য কুখ্যাত। প্রায়ই ছিনতাই হয়, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিকে খুন হয়ে যাওয়াটাও সেখানে সাধারণ ব্যাপার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে