হুমার মা–বাবা ভেবেছিলেন মেয়ে যৌন ব্যবসায়ীদের চক্করে পড়েছেন
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মহারানী’ আর ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর নতুন মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রী হুমা কুরেশিকে। গত কয়েক বছরে ওটিটি আর সিনেমায় নিজের জায়গা পাকা করেছেন অভিনেত্রী। তবে বলিউডে শুরুটা সহজ ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের এক ঘটনার কথা। জানিয়েছেন, ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ (২০১২) সিনেমায় অভিষেকের সময় তাঁর মা–বাবা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি।
‘মিড-ডে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুমা বলেন, ‘আমার মা–বাবা বিশ্বাসই করেননি। তাঁরা ভাবছিলেন, কেন কেউ আমাকে সিনেমায় নিতে চাইবে? তাঁদের মনে হয়েছিল, এটা কোনো যৌন ব্যবসায়ীদের চক্র। তাঁরা একদমই নিশ্চিত ছিলেন। মনে হয়েছিল, যে ব্যাপারটা সন্দেহজনক।’
একই সাক্ষাৎকারে হুমা আরও যোগ করেন, ‘এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, তাঁরা আমার ওপর একেবারেই বিশ্বাস করতে পারেননি যে আমি নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। যদিও বুঝি, তাঁরা তো এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন, আজও আসলে এই দুনিয়ার নিয়মকানুন পুরোপুরি বোঝেন না।’
প্রথম অডিশনের অভিজ্ঞতা
হুমা জানান, তাঁর প্রথম সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত তৈরি হয়নি, কিন্তু সে অভিজ্ঞতাই তাঁকে মুম্বাইয়ে আসার সাহস দিয়েছিল। ‘আমি অফিসে গিয়েছিলাম, স্ক্রিপ্ট পড়েছিলাম, পরের দিন স্ক্রিন টেস্ট হলো। সেই দিন বিকেলেই জানাল তারা, আমি নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু ছবিটা আর তৈরি হয়নি, এটা দুঃখজনক। তবে তখনই মনে হয়েছিল, আমি যদি শহর পাল্টাই, তাহলে হয়তো সুযোগ পাব। কারণ, আমার মধ্যে কিছু একটা আছে। এরপরই মা–বাবাকে রাজি করাতে হয়,’ বলেন হুমা।
বর্তমানে হুমা
বর্তমানে হুমা কুরেশির হাতে রয়েছে বেশ কিছু বড় প্রজেক্ট। ‘দিল্লি ক্রাইম ৩’-এ বড়দিদি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘বয়ান’ নামের ছবিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে, যা প্রদর্শিত হয়েছে চলতি বছরের টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।