২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কে এই পিঙ্কি

পিঙ্কি ইরানি
এএনআই

সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর আগে বলিউড নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে দোষী বলে জানিয়েছে। এবার এ মামলায় পিঙ্কি ইরানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পিঙ্কি সেই নারী, যিনি জ্যাকুলিনের সঙ্গে সুকেশের পরিচয় করিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশের আর্থিক শাখা ইওডব্লিউ পিঙ্কিকে গ্রেপ্তার করেছে।

২০০ কোটি রুপির আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি এর আগে জ্যাকুলিনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এই বলিউড নায়িকাকে গ্রেপ্তারের জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছিল ইডি। কিন্তু এ মামলায় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালত জ্যাকুলিনকে জামিন দিয়েছিলেন। এদিকে আদালত পিঙ্কিকে তিন দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। পুলিশ আশাবাদী, পিঙ্কির সাহায্যে এই ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলার নতুন কিছু খোলাসা হতে পারে।

এখন প্রশ্ন, কে এই পিঙ্কি ইরানি? জানা গেছে, পিঙ্কি বেশ কিছু অভিনেত্রীর সঙ্গে সুকেশের পরিচয় করিয়েছিলেন। জ্যাকুলিন আর সুকেশের সম্পর্কের সেতু ছিলেন এই পিঙ্কি। এক দৈনিক পত্রিকার খবর অনুযায়ী, পিঙ্কি আগে অভিনেত্রী ছিলেন। আর চলচ্চিত্রজগতে তাঁর ভালো চেনাশোনা আছে। সুকেশ পিঙ্কিকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। এই পিঙ্কির মাধ্যমেই তিনি নায়িকাদের কাছে বহুমূল্য উপহার পাঠাতেন। সুকেশ তাঁর সাহায্যেই জ্যাকুলিনের কাছে বেশ কিছু দামি উপহার পাঠিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি হলো হিরের আংটি। জ্যাকুলিন ইডির জেরার মুখে পিঙ্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু গম্ভীর অভিযোগ এনেছিলেন। গত বছর নভেম্বরে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের পর পিঙ্কিকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। এখন ইওডব্লিউ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

পিঙ্কি ইরানি
ছবি : সংগৃহীত

ইডির বয়ান অনুযায়ী, সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের সাক্ষাৎ করানোর জন্য পিঙ্কি মোটা অঙ্ক নিয়েছিলেন। পিঙ্কি ও জ্যাকুলিনকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই সময় তাঁদের মধ্যে প্রবল বচসা হয়েছিল। আর তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছিলেন। জ্যাকুলিন ইডিকে বলেছিলেন, পিঙ্কি তাঁর নিজের সন্তানের দিব্যি খেয়ে বলেছিলেন যে সুকেশ মানুষ হিসেবে খারাপ নয়।

আরও পড়ুন

ইডি অভিযোগে উল্লেখ করেছিল যে সুকেশ এক প্রতারক জানা সত্ত্বেও জ্যাকুলিন তাঁর থেকে নামীদামি উপহার নেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। আর উপহারের অঙ্ক ছিল সাত কোটির বেশি।

আরও পড়ুন